Basmati rice export in Iran: ভারত থেকে ইরানে, বাসমতি চাল-চা আমদানিতে বিরাট ধাক্কা, কারণটা জানলে অবাক হয়ে যাবেন

রেজাউল এইচ লস্কর

ইরানে প্রতি বছর ভারত প্রচুর বাসমতি চাল রফতানি করত। কিন্তু মনে করা হচ্ছে হয়তো ভারত এবার সেই বাজারটা হারাতে চলেছে। মূলত পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে গচ্ছিত থাকা ভারতীয় টাকা কমে যাওয়ার জেরে এই কাণ্ড হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর জেরে চা, ওষুধের রফতানিও ধাক্কা খেতে পারে। আসলে ভারত ইরান থেকে যে তেল নেয় তাতে যে গচ্ছিত টাকা থাকে তা দিয়ে ইরান বাসমতি চাল, ওষুধ, চা ভারত থেকে আমদানি করে। কিন্তু ভারত সেই ২০১৯এর মাঝামাঝি থেকে ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করে দেয়। কারণ তেহেরানের উপর মার্কিন অর্থনৈতিক অবরোধ। তার জেরে ভারত ওই পদক্ষেপ নেয়।

এদিকে ইরানে ভারতের বাসমতি চালের অত্যন্ত চাহিদা। সেকারণে বিকল্প কোনও রাস্তার কথা ভাবছেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের অনেকেই। আবার পাকিস্তান, তুরস্ক, থাইল্যান্ড থেকেও এই সুগন্ধি চাল নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করছে ইরান।

সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের মে মাসে ভারত ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্য়ে ব্যবসায়ীক লেনদেনে প্রভাব পড়তে শুরু করে। তার আগে পর্যন্ত সৌদি আরব, ইরাকে পাশাপাশি ইরান ভারতকে প্রচুর জ্বালানি তেল সরবরাহ করত।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইরানের কাছে যে গচ্ছিত ভারতীয় মুদ্রা ছিল তা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে তারা আর ভারত থেকে আমদানি করতে পারছে না। কারণ তাদের স্থানীয় মুদ্রায় আমদানি জারি রাখা সম্ভব নয়।

অপর এক ব্যক্তির দাবি, ভারতীয় মুদ্রা আর রিয়াদের মধ্য়ে আমদানি করা সম্ভব নয়।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ইরান ভারতের সঙ্গে একাধিক মিটিংয়ে উল্লেখ করেছে, আপনারা আমাদের থেকে তেল নিন। এতে তাদের কাছে গচ্ছিত টাকা থাকবে। সেটা দিয়ে তারা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পারবে। এমনকী তারা নাকি জানিয়েছে, যেভাবে রাশিয়া থেকে ভারত ক্রুড অয়েল কিনছে সেভাবে ইরানের থেকে কেনা হোক।

তবে সেই ২০১৪-১৫ সাল থেকে ইরান ভারত থেকে সবথেকে বেশি বাসমতি চাল আমদানি করত। ২০১৪-১৫ সালে ইরান ৯৩৫.৫৬৭ মেট্রিক টন বাসমতি আমদানি করেছিল। ২০১৮-১৯ সালে ১.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন, ২০২২-২৩ সালে ৯৯৮.৮৭৯ মেট্রিক টন। আর চায়ের ক্ষেত্রে ইরান আমদানিকারক দেশগুলির মধ্য়ে চতুর্থ স্থানে থাকত।