Bharat Gaurav tourist train: ভারত গৌরব ট্যুরিস্ট ট্রেন, ৮ রাত ৯দিনের প্যাকেজ, রাজকীয় ভ্রমণ, খরচটা জেনে নিন

ভারত গৌরব ট্যুরিস্ট ট্রেন। ভারতের স্বাধীনতার ৭৬তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই ট্রেনযাত্রা। এএনআই সূত্রে খবর, আগামী ২২ অগস্ট হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়বে। রেল তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি আমেদাবাদ, গুজরাটের সুরাট, পুনে, শিরদি, মহারাষ্ট্রের নাসিককে ছুঁয়ে যাবে। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতেও যাবে এই ট্রেন। 

সব মিলিয়ে ৮ রাত-৯দিনের ট্য়ুর। প্রথমেই এটি আমেদাবাদে দাঁড়াবে। মহাত্মাগান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত স্থান। এরপর সবরমতী আশ্রম, ডান্ডি কুটির ও অক্ষরধাম মন্দিরে যেতে পারবেন পর্যটকরা। 

এক রাতের বিরতি। এরপর একতা নগর রেলস্টেশন। এখান থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখে আসুন। সেখান থেকে আবার একরাতের জার্নি। এবার গন্তব্য গুজরাটের সুরাট। সেখানে বারদৌলিতে সর্দার প্যাটেল মিউজিয়াম, ডান্ডি বিচ দেখে আসুন।

এরপরের গন্তব্য পুনে। সেখানে আগা খান প্যালেসে যেতে পারবেন পর্যটকরা। এখানেই মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিষয়গুলিকে জানুন। এখানে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একাধিক নিদর্শন দেখে আসুন। 

পুনেতে একরাত থেকে ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করে নিন। এটা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ নামে পরিচিত। ভ্রমণের সপ্তম দিনে ট্রেনটি সিরদিতে এসে পৌঁছবে। সাঁইবাবার নামে পরিচিত এই শহর। এখানেই একরাত থাকতে পারবেন। আশ্রমের নানা কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখুন। শনি ভগবানের মন্দিরও একবার দর্শন করে আসতে পারেন। এরপর ত্রম্বকেশ্বর জ্যোরির্লিঙ্গ দেখে ঝাঁসির দিকে রওনা দেবে ট্রেনটি। এখানেই রয়েছে সেই বিখ্য়াত ঝাঁসির দুর্গ। সিপাহি বিদ্রোহের সময় এই দুর্গ থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। 

সব মিলিয়ে প্রায় ৩৬০০ কিমি ভ্রমণ হবে এই ট্রেনে। এবার এই ট্রেনের ব্যবস্থাগুলি জেনে নিন। এটা এসি ডিলাক্স ট্রেন। দুটি বড় ডাইনিং রেস্তরাঁ থাকছে। লাইব্রেরি, স্নান করার সুন্দর জায়গা সব ট্রেনের মধ্যেই থাকছে। ফুট মেসেজারও থাকছে। 

এসি ১, এসি ২ ও এসি ৩ টায়ার ব্যবস্থা থাকছে। সুরক্ষার জন্য সিসি ক্য়ামেরা, নিরাপত্তারক্ষী থাকছে। তবে সকলেরই প্রশ্ন এই গোটা প্যাকেজের ভাড়া কীরকম পড়বে? 

এসি থ্রিটায়ারে এখানে প্যাকেজ পড়বে ৩১, ৭৩১ টাকা। এসি ২ টায়ারে প্যাকেজ মাথাপিছু পড়বে ৫৭,০১৫ টাকা। এসি ১ কেবিনে প্যাকেজ ৬০,৮৮১ টাকা। এসি ১ ক্যুপে প্যাকেজ পড়বে ৬৮,১৪৫ টাকা। 

মোটামুটি নাগালের মধ্য়েই রয়েছে। ট্রেনের যাত্রাও অত্যন্ত আরামদায়ক। এনিয়ে রেলের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে নিন। তারপর ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ার পালা।