CAG Audit on Delhi CM house renovation: কেজরির সরকারি নিবাসের মেরামতিতে খরচ কত কোটি? অনিয়মের অভিযোগের অডিট করবে CAG

দিল্লির সিভিল লাইনসে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনের মেরামতির ক্ষেত্রে উঠেছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। এবার এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশেষ অডিট করতে চলেছে ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অফিসের কর্মকর্তারা এই অডিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখেছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। সেখানেই তিনি এই অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। পরে কেন্দ্রের তরফে সিএজি-কে এই নিয় অডিট করার জন্য আবেদন জানানো হয়। এই আবহেই সিএজি অডিট করতে চলেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের মেরামতির খরচ।

প্রসঙ্গত, অভিযোগ ওঠে, কোভিডকালে নিজের সরকারি বাসভবনের সৌন্দর্যায়নে ৪৫ কোটি খরচ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরির বাংলো মেরামতি সংক্রান্ত নথি থেকে জানা যাচ্ছে যে এই নির্মাণ কাজের জন্য সরকারের তরফে মোট ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্মাণকাজ শেষ করতে মোট ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। সিভিল লাইন্সের ৬ নং ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে অবস্থাত এই বাসভবনের পুনঃনির্মাণে মোট ছয় দফায় টাকা খরচ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এই টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে নথি থেকে। নথি থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে বাসভবনের ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশনেই খরচ হয়েছিল ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এদিকে ফ্লোরে পাথর বসানোর ক্ষেত্রে খরচ হয়েছিল ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। এদিকে ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশনের কন্সাল্টেশন ফি বাবদ খরচ হয়েছিল ১ কোটি টাকা।

এদিকে বাসভবনের ইলেক্ট্রিক ফিটিংয়ের জন্য ২.৫৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এদিকে ইলেক্ট্রিক ফিটিং এবং অ্যাপ্লায়েন্স বাবদ খরচ হয়েছিল ২.৮৫ টাকা। এদিকে ওয়ার্ডরোব ফিটিংয়ে খরচ হয়েছিল ১.৪১ কোটি টাকা। রান্নাঘর সাজাতে খরচ হয়েছিল ১.১ কোটি টাকা। এদিকে কেজরিওয়ালের ক্যাম্প অফিসের ওপর খরচ করা হয়েছে ৮.১১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে কোভিড অতিমারি তুঙ্গে ছিল। সেই সময়কালে বায়ুদূষণ রুখতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে।

এদিকে দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ছাদে তিনবার ধস নামে। এরপরই পিডাব্লুডি-কে ভবনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, কেজরিওয়াল এবং তাঁর মা-বাবার ঘরের ছাদে ধস নেমেছিল। এমনকী কেজরিওয়াল যে ঘরে লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন, সেই ঘরের ছাদেও ধস নামে। প্রসঙ্গত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনটি ৮০ বছর পুরোনো। এদিকে আম আদমি পার্টির আরও দাবি, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাড়িরও মেরামতি হয়। তাতে ১৫ কোটি টাকা খরচ হয়।