Congress on MQ-9B Drone Pact: ‘রাফালের পুনরাবৃত্তি, বেশি দামে কেনা হচ্ছে মার্কিন ড্রোন’, অভিযোগ কংগ্রেসের

সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে প্রিডেটর ড্রোন কেনার চুক্তি করে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। শতাব্দী প্রাচীন দলের অভিযোগ, প্রিডেটর সশস্ত্র ড্রোন কেনার বিষয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির কোনও বৈঠকই ডাকেনি মোদী সরকার। এমনিতেই এই ড্রোনের দাম এবং চুক্তি পাস করা হয়। এই ড্রোন কেনার চুক্তির মাধ্যমে রাফালের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এর আগে ফরাসি সংস্থা দাসোঁ থেকে রাফাল কেনা নিয়ে আর্থিন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। যদিও আদালতে কংগ্রেসের সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

পবন খেরা আজ বলেন, ‘রাফাল চুক্তিতে যা হয়েছিল, এখানেও তাই হচ্ছে। অন্যান্য দেশ আমেরিকা থেকে এই একই ড্রোন এক-চতুর্থাংশ দামে কিনছে। আর ভারত কিনছে ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। আমরা এক একটা ড্রোন কিনছি ৮৮০ কোটি টাকা দিয়ে। ভারত সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া নীতি কই গেল? ডিআরডিও-কে ড্রোন তৈরির জন্য ১৭৮৬ কোটি টাকা দেওয়া হল। রুস্তম, ঘাতক-এর মতো ড্রোন তৈরির জন্য দেশের সংস্থাকে এত কম টাকা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আমরিকাকে দেওয়া হচ্ছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।’ এদিকে পবন খেরা আরও অভিযোগ করেন, এই প্রিডেটর ড্রোন পুরনো প্রযুক্তির।

প্রসঙ্গত, মোদীর মার্কিন সফরকালে ৩১টি সশস্ত্র এমকিউ-৯বি ড্রোন কেনার জন্য চুক্তি হয়েছে ভারত ও আমেরিকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় ভারত পাবে ১০টি অত্যাধুনিক ড্রোন। তবে সেই ড্রোনগুলির সঙ্গে অস্ত্র আসবে না। যদিও এই ড্রোনগুলি অস্ত্র বহনে সক্ষম থাকবে। জনা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফা থেকে ভারত সশস্ত্র ড্রোন পেতে শুরু করবে। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় পাওয়া ১০টি এমকিউ-৯বি ড্রোনের মধ্যে ১টি ড্রোনকে দক্ষিণ ভারতে মোতায়েন করা হবে। এদিকে দু’টি ড্রোনকে চিন সীমান্তের ওপর নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ১৫ জুনই এই ড্রোন কেনার জন্য অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মোদীর সফরকালে এই চুক্তির ওপর সিলমোহর পড়েছে। আমেরিকা থেকে ১৫টি সি গার্ডিয়ান ড্রোন এবং ১৬টি স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন কিনছে ভারত। সি গার্ডিয়ান ড্রোনগুলি সমুদ্রের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হবে। এদিকে স্কাই গার্ডিয়ানগুলি ভূভাগের ওপর আকাশ থেকে নজরদারির জন্য কাজে লাগানো হবে। এদিকে জানা গিয়েছে, ৩১টি ড্রোনের মধ্যে নৌসেনাকে দেওয়া হবে ১৫টি ড্রোন। সেনা ৮টি এমকিউ-৯বি ড্রোন দেওয়া হবে। এছাড়া বায়ুসেনার হাতেও তুলে দেওয়া হবে ৮টি এমকিউ-৯বি ড্রোন।