গুহামানবরা থাকতেন ডাইনোসরের সঙ্গে? চাঞ্চল্যকর দাবি নয়া গবেষণায়

ডাইনোসরদের সঙ্গে নাকি এক মাটিতে বাস করত বনমানুষরা‌। বিশালায়তন ডাইনোসর বিলুপ্ত হওয়ার আগে এমনটাই নাকি ছিল পৃথিবীর পরিবেশ।‌ সম্প্রতি বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা কারেন্ট বায়োলজিতে এই বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। তাতেই গবেষকরা দাবি করেছেন এমনটা। প্রসঙ্গত, বিশালাকার ডাইনোসর আদতে স্তন্যপায়ী গোত্রের প্রাণী। ৬ কোটি বছর আগে এই প্রজাতি  বিশাল উল্কাপাতের ফলে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তবে তার আগে দিব্যি মানুষের সঙ্গেই নাকি বসবাস করত বিভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসর। 

আরও পড়ুন: বমির তোড়ে উপড়ে এল সব দাঁত, কোন বীভৎস রোগে ফোকলা হলেন এই মহিলা

আরও পড়ুন: প্রোটিন ড্রিঙ্ক খেয়ে কিশোরের মৃত্যু, লেবেলে সতর্কতা দেওয়ার কথা ভাবছে ব্রিটেন

সম্প্রতি প্লাসেন্টা স্তন্যপায়ী প্রাণীর জীবাশ্ম পরীক্ষা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, প্লাসেন্টা স্তন্যপায়ী প্রাণী বলতে বোঝানো হয় খরগোশ, বাদুড়, কুকুর ও মানুষ প্রভৃতিকে।‌ এই পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে অবশ্য অনেকগুলি ফলাফল পান বিজ্ঞানীরা। তবে ডাইনোসরদের বিলুপ্তির বিষয়ে বিজ্ঞানীরা একমত। তাঁদের কথায়, ক্রেটাসিয়াস পর্বের শেষ হয় ওই বিশাল উল্কাপাতের ফলেই। তখনই স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে একটি বড়রকমের বৈচিত্র তৈরি হয়। আর তার থেকে সৃষ্টি এই বিশ্বের, যেমনটা আমরা চোখে দেখছি। 

ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গবেষক এমিলি কার্লিসল সংবাদমাধ্যমকে জানান, সব মিলিয়ে হাজারটি জীবাশ্মের নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তার থেকেই জানা গিয়েছে, কীভাবে কোন স্তন্যপায়ী প্রজাতির উৎপত্তি হয়েছে। অন্যদিকে কোন প্রজাতি কখন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে তারও একটি ধারণা এই জীবাশ্ম গুলি পাওয়া গিয়েছে। 

প্রসঙ্গত ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এমিলি ও ফ্রীবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গবেষকরা মিলে এই সব’কটি জীবাশ্ম পরীক্ষা করেছেন। যার মাধ্যমে ৬৬ মিলিয়ন বা ৬.৬ কোটি বছর আগের তথ্যও বিশ্লেষণ করেছেন তাঁরা। বিশ্লেষণের পর দেখা যায়, ঠিক যে সময় বিলুপ্ত হচ্ছে ডাইনোসরের মতো বৃহদাকার প্রাণী, তার আগেকার সময়েই মানুষ, খরগোশ ও বাদুড়ের মতো স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। এই জীবাশ্ম দেখেই বিজ্ঞানীদের অনুমান, ডাইনোসর ও মানুষের পূর্বপুরুষরা কিছুদিন একইসঙ্গে বসবাস করেছেন। এর পাশাপাশি আরেকটি তথ্যও উঠে এসেছে বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রে। বিজ্ঞানীদের কথায়, ডাইনোসরদের যুগ হঠাৎ শেষ হওয়ায় অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বাঁচার সুযোগ পেয়েছে। পরবর্তী সময়ে কালের নিয়মে তাঁরা বিবর্তনের পথেও এগিয়েছে। তবে শুধু বনমানুষ নয়, আকারে ছোট অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, বাদুড়ের জীবাশ্ম পরীক্ষা করেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।