Ajit Pawar: মোড় ঘুরল মারাঠা রাজনীতির, BJP-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে মন্ত্রী হতে পারেন অজিত পাওয়ার

জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। সেই জল্পনা সত্যি করে বিজেপি-শিণ্ডে জোটের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন অজিত পাওয়ার। আজ বেলার দিকে রাজভবনে যান অজিত পাওয়ার। তারপরই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। জানা গিয়েছে, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে ৩০ জন এনসিপি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এই আবহে অজিত পাওয়ার সহ এনসিপির ৮ জন বিধায়ক মন্ত্রী হতে পারেন। জানা যায়, মহারাষ্ট্রে শিণ্ডে-ফড়ণবীস মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে সম্ভবত আজই। তার আগে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এনসিপির ৩০ জন বিধায়ক। এরপরই ছবিটা প্রায় স্পষ্ট হয়ে যায়। গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়, মহাবিকাশ অঘাড়ি ছেড়ে বিজেপির হাত ধরবেন অজিত পাওয়ার। এরই মাঝে দুপুর ২টো নাগাদ রাজভবনে যান অজিত পাওয়ার। ওদিকে জরুরি বৈঠকে বসেন শরদ পাওয়ার।

এদিকে অজিত পাওয়ারের দল ভাঙার জল্পনার মাঝে দলের কার্যকরী সভাপতি তথা শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে দেখা করতে যান নিজের বাবার সঙ্গে। এনসিপি প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন দলের অপর কার্যকরী সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলও। উল্লেখ্য, এনসিপিতে সুপ্রিয়ার সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে চিরকালই টানাপোড়েন ছিল অজিত পাওয়ারের। এই আবহে শরদ পাওয়ার সুপ্রিয়া ও প্রফুল্লকে দলের গুরুত্বপূর্ণে পদে বসালে মনক্ষুণ্ণ হন অজিত। সেই সময় শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, অজিত বিধানসভায় গুরুত্বপূর্ণ (বিরোধী দলনেতা) পদে আছে। তাই দলের ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে। জবাবে অজিত পাওয়ার দাবি করেছিলেন, তিনি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা থাকতে চান না। বরং তাঁকে দলের সংগঠনের কোনও পদ দেওয়া হোক।

এই দলীয় টানাপোড়েনের মাঝেই বেশ কিছু দিন ধরেই অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বিজেপির ‘যোগসাযোগের’ জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও এই জল্পনা বরাবরই উড়িয়ে দেন দলের প্রধান শরদ পাওয়ার। প্রসঙ্গত, অজিত পাওয়ার এর আগে ২০১৯ সালে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে মিলে সরকার গড়েছিলেন তিনদিনের জন্য। তিনি ভোরে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেছিলেন। তখন তিনি দাবি করেছিলেন, দলের পরিষদীয় নেতা হওয়ার দরুণ তাঁর সঙ্গে দলের সব বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সরকার টেকেনি। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দাবি করেন, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে এনসিপি-বিজেপি জোট সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তা মেনেও নেন শরদ পাওয়ার। তবে তিনি দাবি করেন, বিজেপির ‘ক্ষমতা লোভী’ চেহারা প্রকাশ্যে আনতেই নাকি তিনি সেই সময় সম্মত হয়েছিলেন জোট সরকারের জন্য। এদিকে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের তিনদিনের সরকারের পতনের পর অজিত ফিরে আসেন এনসিপিতে। উদ্ধব ঠাকরের সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। আবার সম্প্রতি অনেক ক্ষেত্রেই মোদী বন্দনা শোনা যায় অজিতের গলায়। এই সব মিলিয়ে তাঁকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আজ সেই জল্পনার অবসান হতে পারে।