ISIS Shivamogga conspiracy case: ‘রোবোটিক্স শিখে হামলা চালাতে চেয়েছিল ৯ যুবক’, ISIS ষড়যন্ত্র নিয়ে বড় দাবি NIA-র

কর্ণাটকের শিবমোগ্গা আইএসআইএস ষড়যন্ত্র মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত শুক্রবার ফাইল করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে বিস্ফোরক সব দাবি করেছে এনআইএ। তদন্তকারীদের মতে, এই মামলায় অভিযুক্ত ৯ যুবক নাকি রোবোটিক্স শিখতে চেয়েছিল আগামীতে জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য। এই গোটাটাই আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। এর জেরে শিবমোগ্গা জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে বিস্ফোরণও ঘটায় এই অভিযুক্ত যুবকরা। এদিকে অনেক জায়গার ‘রেকি’ করে সেখানে ভাঙচুরও চালিয়েছিল তারা। মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই এর মূল লক্ষ্য ছিল।

উল্লেখ্য, এই মামলায় অভিযুক্তরা হল ২৫ বছর বয়সি মহম্মদ শারিক, ২৩ বছরের মাজ মুনির আহমেদ, ২২ বছর বয়সি সইদ ইয়াসিন, ২২ বছরের রিশান তাজউদ্দিন শেখ, ২২ বছরের হুজৈর ফারহান বেইগ, বছর ২২-এর মজিন আবদুল রহমান, ২২ বছর বয়সি নাদিম আহমেদ, ৩২ বছর বয়সি জাবিউল্লা এবং বছর ২৭-এর নদিম ফাইজাল। এই ৯ জনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং ইউএপিএ-র অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে আইএস ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার আগেও মাজ মুনির এবং সইদ ইয়াসিনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

আইএসআইএস ষড়যন্ত্র মামলার চার্জশিটে নাম থাকা অভিযুক্তদের মধ্যে মাজ মুনির, সইজ ইয়াসিন, তাজউদ্দিন শেখ, মজিন আবদুল রহমান এবং নাদিম আহমেদ ইলেকট্রিকার ইঞ্জিনিয়ার। এনআইএ জানিয়েছে, এই অভিযুক্তদের বিদেশি হ্যান্ডলার তাদের রোবোটিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে বলেছিল। পরবর্তীকালে সেই জ্ঞান প্রয়োগ করে ভারতে নাশকতা ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল আইএসআইএস-এর। তদন্তে উঠে এসেছে, মহম্মদ শারিক, মাজ মুনির আহমেদ এবং সইদ ইয়াসিনই বাকিদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তারা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ছক কষেছিলেন। তারাই বাকিদের মনে কট্টরপন্থার বীজ বপন করেছিল। এদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশি হ্যান্ডলার এই অভিযুক্তদের অর্থ সাহায্য করত বলে জানা গিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মামলা প্রাথমিক ভাবে রুজু করেছিল শিবমোগ্গার গ্রামীণ পুলিশ। পরে এনআইএ-র হাতে ওঠে এই মামলাটি। তারাই তদন্ত করে এই ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস করে।

এর আগে সম্প্রতি পোরবন্দরে সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএস-এর মডিউলের পর্দা ফাঁস করেছিল গুজরাট এটিএস। ঘটনায় একজন বিদেশি নাগরিকসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে অনলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বহু কট্টরপন্থী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিকে নিজেদের দলে টানতে সক্ষম হয়েছে আইএসআইএস, আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই সব জঙ্গি সংগঠনের মডিউল গড়ে উঠেছে। এই আবহে দেশে নাশকতামূলক হামলা চালানোর পরিকল্পনাও করছে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি।