Mobile phone in Underwear: অন্তর্বাসের ভিতর ফোন! আর্মির পরীক্ষায় হাতেনাতে ধরা পড়ল তরুণ

ফোন আজকাল অনেক কাজেই লাগে। ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত নানা কাজে লাগে এই অত্যাধুনিক যন্ত্র। তবে অনেক কুকাজেও ফোন ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। তেমনই কুকর্ম করতে গিয়ে ধরা পড়েন এক তরুণ। রীতিমতো হাতে তাঁকে ধরে ফেলা হয়। এর পর পুলিশ ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: Hair Mask Tips: হেয়ার মাস্ক হিসেবে দারুণ কাজ দেয় দইয়ের ৫ মিশ্রণ, ব্যবহার করলেই সুফল

আরও পড়ুন: কীভাবে হাইভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে ত্রিপুরায় রথ দুর্ঘটনা? তদন্ত কমিটি ইসকনের

সম্প্রতি বিআরও পরীক্ষার চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে বর্ডার রোডস অরগানাইজেশন স্কুল অ্যান্ড সেন্টারের একটি বিশেষ পরীক্ষা হয়। সংক্ষেপে এই বিআরও পরীক্ষার দিনই এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। পুনের ধানৌরিতে এই পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল। সেখানেই এমন ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, দীপচন্দন করমবীর নামে ২৫ বছরের এই যুবকের বাড়ি হরিয়ানার হিসার জেলার বারওয়ালা শহরে। সহকারী পুলিশ এস এস মালি এই দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্লাস ১২ পাস। মোবাইল ফোন অন্তর্বাসে লুকিয়ে ঠিক কী করার চেষ্টা করছিল যুবকটি, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, পরীক্ষায় দেওয়া প্রশ্নের উত্তরগুলি জানার চেষ্টা করতেই ফোন ওভাবে লুকিয়ে রাখা। ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

এই দিন বিআরও পরীক্ষায় গাড়ি মেকানিকের পদের জন্য আবেদন করেছিলেন করমবীর। পরীক্ষায় ঢোকার আগে নিরাপত্তাজনিত পরীক্ষা চলছিল তাঁদের। সেই সময় দেখা যায়, পেনের ক্যাপের মধ্যে একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র রয়েছে। পরে দেখা যায়, তার অন্তর্বাসের মধ্যেই লুকানো রয়েছে একটি মোবাইল ফোন। ফোন উদ্ধারের পরেই তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর যাতে আগেই জেনে নেওয়া যায়, তার জন্যই এই ফন্দি আঁটে দীপচন্দন নামের ওই যুবক। তবে এর পাশাপাশি, আর কোনও অভিসন্ধি ছিল কিনা, তাও জানার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর (প্রতারণা) ও ৫১১ নম্বর (প্রাণদণ্ড বা কারাদণ্ডের শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঘটানোর চেষ্টা) ধারায় মামলা রুজু করেছে। গত মার্চ মাস থেকে এমন চারজন নকল পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। প্রতিটি মামলাই বিশ্রান্তওয়াড়ি থানায় রুজু করা হয়েছে।