Rajya Sabha Election TMC Candidates: রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থীতে থাকছে তৃণমূলের চমক, যোগ–বিয়োগে কারা কোথায়?

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালেই রাজ্যসভা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কারণ আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচন। সুতরাং কাকে বাদ দিয়ে কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। আবার এর মধ্যে ষষ্ঠ আসনে হবে উপনির্বাচন। ফলে প্রার্থী নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতে থাকছেন ডেরেক ও’‌ব্রায়েন, দোলা সেন এবং সুখেন্দুশেখর রায়। বাকি দুটি আসন নিয়ে চলছে জোর আলোচনা বলে সূত্রের খবর। তবে শান্তা ছেত্রী এবং সুস্মিতা দেব বাদের তালিকায় থাকছেন বলেও সূত্রের খবর।

তাহলে শান্তা–সুস্মিতার জায়গায় আসবেন কারা?‌ এই দুটি আসনে কাদের নিয়ে আসা হবে সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কুণাল ঘোষকে একটি আসন দেওয়া হতে পারে। আর একটি আসনে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হতে পারে। আর যদি সেটা হয় তাহলে এটা হবে মাস্টারস্ট্রোক। কারণ প্রত্যেকেই সুবক্তা এবং বিষয়টি সম্পর্কে অত্যন্ত ওয়াকিবহাল। কুণাল ঘোষ আগেও রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। আর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় একদিকে পণ্ডিত ব্যক্তি অন্যদিকে রাজ্যসভার রাজনীতিটা ভালই বোঝেন। ফলে বিজেপির উপর চাপ বাড়বেই।

আর ষষ্ঠ আসনটি কী হবে?‌ লুইজিনহো ফেলেইরো রাজ্যসভার আসন থেকে পদত্যাগ করার পর সেটি খালি হয়েছে। সুতরাং সেখানে উপনির্বাচন হবে। ওই আসনটিতে চমক আরও বাড়তে পারে। এখানে এমন কোনও ব্যক্তিকে আনা হতে পারে যিনি সমাজের বুকে বিশিষ্ট। আবার পুরনো সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরও আস্থা রাখতে পারেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ তিনিও আগে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। তাছাড়া এখন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন দক্ষতার সঙ্গে সাজিয়ে তুলেছেন। তবে এবার বিজেপিও একটি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে। ফলে লড়াই একটা হবেই। সূত্রের খবর, অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি। তাহলে সরাসরি উত্তরবঙ্গ বিভাজনের তাস খেলা হতে পারে।

আরও পড়ুন:‌ ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোড়ন

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ খালি হওয়া ছ’টি আসনের প্রত্যেকটিতে জয়ের জন্য ৪২ জন করে বিধায়কের ‘প্রথম পছন্দের ভোট’ প্রয়োজন। এই নিয়মে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচটি আসনে জেতার কথা। ষষ্ঠ আসনটিতে বিজেপি জিতবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে কারা প্রার্থী হবেন সেটা ঠিক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে জিএনএলএফ প্রার্থী হিসাবে কার্শিয়াং কেন্দ্রে জিতেছিলেন শান্তা ছেত্রী। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর হেরে যান তিনি। তারপর তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পাহাড়ের রাজনীতিতে শান্তা ‘সক্রিয়’ হয়ে ওঠেননি। অসমের শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা ২০২১ সালে অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন সুস্মিতা। তাঁকে ত্রিপুরার সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু লাভ হয়নি।