Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই ভিন্নমত, বেসুরো প্রাক্তন CM-র ছেলে

দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর পক্ষে সওয়াল করলেন হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যে পূর্তমন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং। তবে যে সময়ে এই বিধি চালু করা নিয়ে সওয়াল করা হচ্ছে, তার সমালোচনা করেছেন হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর পুত্র বিক্রমাদিত্য সিং। কারণ বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এছাড়া রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনও। তার ঠিক আগেই অভিন্ন দেওয়া বিধি চালুর পক্ষে সওয়াল করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসলে ‘মূল ইস্যু’ থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই সময় অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিক্রমাদিত্য।

(পড়তে পারেন। Congress on Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে দিল্লিতে চড়ছে পারদ, এই নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান কী?)

তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস সব সময় ভারতের সব অংশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আমরা বলেছি, আমরা বৈচিত্রের ঐক্যে বিশ্বাস করি। তাই কোনও আইন আনার আগে কেউ যেন মনে না করে আইন তাদের বিরুদ্ধে। সে জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু নিয়ে সব পক্ষের মধ্যে একটি দৃঢ় ঐক্যমত্য গড়ে তুলতে হবে। তাই তাদের ( বিজেপি) সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

তবে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন এ নিয়ে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে চলবে হিমাচল কংগ্রেস। তিনি বলেন, ‘দলের সভাপতি যে নির্দেশ দেবেন সেটাই মেনে চলব আমরা। তবে ঐক্য ও অখণ্ডতার প্রশ্নে আমরা জাতীয় অনুভূতির সঙ্গেই দাঁড়িয়েছি।’

তিনি এও মনে করিয়ে দেন, এই বিধি চালু করার প্রশ্নে সংখ্যালঘুরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, তাদের অধিকার খর্ব হতে পারে। তাই এই আইন চালু করার আগে তাদের মতও শোনা উচিত।

কংগ্রেস নেতারা এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা ও হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।

তিনি বলেন,’কেউ যদি নিজের মতাদর্শ ও দলের উর্ধ্বে উঠে নিজের মনের কথা শুনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মতপ্রকাশ করেন, তবে তা হবে দেশ ও সমাজের স্বার্থে। আমরা সব সময় দাবি করেছি আইন সবার জন্য অভিন্ন হওয়া উচিত। বিক্রমাদিত্য সিং যদি এটা বলে থাকেন, তবে তিনি নিজের বিবেকের কথা শুনেছেন।’

গত সপ্তাহে ভোপালে বিজেপির একটি কর্মী সভাতে বক্তব্য রাখার সময় অভিন্ন দেওয়া বিধি চালুর পক্ষে জোর সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদের বাদল অধিবশনে এই নিয়ে বিলও পেশ করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের একাংশ সরব হয়েছে। তবে হিমাচলের কংগ্রেস নেতার এই বেসুরো মন্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতে কংগ্রেস।