Diamond in Kolkata Airport: যাত্রীর ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে,থরে থরে সাজানো হিরে, বাজেয়াপ্ত কলকাতা বিমানবন্দরে

একটা দুটো নয়, একেবারে ২৩৯টি হিরে। আলো যেন একেবারে ঠিকরে বের হচ্ছে। যাত্রীর ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে এল একের পর এক হিরে। ব্যাগের মধ্য়ে প্যাকেট রাখা ছিল। আর সেই প্যাকেটের মধ্য়ে ছিল এই হিরে। সোমবার মাঝরাতে রিপন দাস নামে ওই ব্যক্তি কলকাতা বিমানবন্দরে এসেছিলেন। বাংলাদেশগামী বিমানে চাপার কথা ছিল তার। সেই মতো সিকিউরিটি চেকিং করা হয় তার ব্যাগের। আর তখনই ঝুলি থেকে বেড়াল একেবারে বেরিয়ে পড়ল।

সূত্রের খবর, ব্যাগের মধ্য়ে সাদা রঙের একটা মোড়ক ছিল। সেই মোড়কের মধ্যে রাখা ছিল হিরে। সব মিলিয়ে তিনটি প্যাকেটে সেই হিরে রাখা ছিল। একে একে নিরাপত্তারক্ষীরা সেই প্যাকেটগুলি বের করেন। আসলে প্যাকেট দেখেই সন্দেহ হয়েছিল সিআইএসএফের। এরপরই সেই প্যাকেট খুলতেই চোখ কপালে।

সেই প্যাকেটের মধ্যে থরে থরে হিরে সাজানো রয়েছে। এরপরই সেই বিমান যাত্রীকে আটক করা হয়। মূলত সেই হিরে তিনি কোথা থেকে পেয়েছিলেন। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হিরে? এই হিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার কাছে কোনও উপযুক্ত কাগজ ছিল কি না এসবই জানার চেষ্টা করা হয়। তবে মঙ্গলবার ওই ব্যক্তিকে শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে হিরে গুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ২৩৯টি হিরে পাওয়া গিয়েছে ওই ব্যাগ থেকে এই হিরের ওজন প্রায় ৩১.১১ ক্যারেট। এর বাজার মূল্য প্রায় ১১ লক্ষ, ৭ হাজার ২০০ টাকা।

তবে এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তবে কি তিনি হিরে পাচার করার চেষ্টা করছিলেন? তিনি এত বহুমূল্য হিরে কোথা থেকে পেলেন? এত দামি হিরে কি তিনি বাংলাদেশে নিয়ে বিক্রি করতেন? তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে বিমানবন্দর থেকে বহুমূল্য জিনিসপত্র আটক করেছে সিআইএসএফ। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরাও এই বহুমূল্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে অতীতে। পাচার আটকানোও সম্ভব হয়েছে। এবার একেবারে মূল্যবান হিরে।