Loreto College admission: ‘ভুলটা আমাদের, ক্ষমা চাইছি,’ চাপে পড়ে ইংরেজি মাধ্যম বিজ্ঞপ্তি তুলল লরেটো কলেজ

ইংরেজি মাধ্যম নাকি বাংলা মাধ্যম এনিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। আর সেই বিতর্কের মাঝেই সামনে আসে লরেটো কলেজের প্রসঙ্গ। ভর্তির বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। এদিকে সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশানো না করলে ভর্তি নেওয়া হবে না। তার জেরে তুমুল বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। তবে এবার কার্যত সেই বিতর্কের জেরেই আগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিল লরেটো কলেজ। সেই সঙ্গেও ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে লরেটো কলেজের পক্ষ থেকে। এনিয়ে তাদের ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা হয়েছে। একেবারে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য।

সেখানে বলা হয়েছে, কলকাতার লরেটো কলেজের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলার সার্বিকভাবে শিক্ষার প্রসারে ১০০ বছরের বেশি কাজ করছে এই কলেজ। সম্প্রতি যে ভর্তি পলিসির কথা বলা হয়েছিল সেটা ঠিক আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে মানায় না। এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। সেটা আমাদের তরফে। লরেটো কলেজ কলকাতা, নিঃশর্তভাবে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছে। সেই ভর্তির পলিসিকে বাতিল করা হচ্ছে। এতদিন ধরে বাংলার সেবা যেভাবে আমরা করেছি সেভাবেই করব।

 

ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

সূত্রের খবর, এই কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মূলত একটি মিশনারি কলেজ। সেখানে ভর্তির শর্ত দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এদিকে সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘লরেটো কলেজে ইংরেজি মাধ্যমে পঠনপাঠন হয়। কলেজের পরীক্ষাও হয় ইংরেজিতেই। সেখানে অন্য ভাষায় উত্তর লেখা যায় না। কলেজের লাইব্রেরির শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষার বই রাখা হয়। বাংলা বা হিন্দির মতো আঞ্চলিক ভাষার বই কলেজ লাইব্রেরিতে নেই। তাই যাঁরা আঞ্চলিক ভাষার স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেছেন তাঁরা এই কলেজে ভরতির জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন না। তাই ভরতি প্রক্রিয়ায় যেন তারা অংশ না নেন।’এরপরই তুমুল শোরগোল পড়ে যায়।

এনিয়ে শিক্ষামহলেও বিতর্ক দানা বাঁধে। ইংরেজি মাধ্যমে না পড়লে ভর্তি নেওয়া হবে না। কার্যত এই বার্তা ছিল নোটিশে। তারপরই এনিয়ে তুমুল শোরগোল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও এনিয়ে লরেটোর কাছে বিষয়টি জানতে চায়। কিন্তু সূত্রের খবর, এনিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি লরেটো। এরপরই দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই একেবারে নিঃশর্তে ক্ষমা চেয়েছে কলেজ।