River erosion prevention methods: ‘টাকা দিচ্ছে না’ কেন্দ্র! ভাঙন রোধে নয়া কৌশল সেচ দফতরের

রাজ্যে বর্ষা পড়তেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। নবান্নের অভিযোগ, ভাঙন রোধে টাকা চেয়েও তা মেলেনি। তাই এবার নয়া কৌশলে ভাঙন রোধ করতে নামছে সেচ দফতর। বাঁশের খাঁচায় ইট ভরে, তাকে ভাঙন রোধের কাজে ব্যবহার করা হবে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই উদয়নারাণপুরের জগদীশপুরের হুগলি নদী ও মহিষাদলের দনিপুরে রূপনারায়ণের ভাঙন ঠেকাতে এই পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে সাফল্যও এসেছে। এ বার পরিকল্পনা চলছে অন্য ভাঙনপ্রবণ এলাকাতেও এই কৌশল ব্যবহারের। 

(পড়তে পারেন: সরকারি হাসপাতালেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত, হোয়াটসঅ্যাপে জরুরি বার্তা স্বাস্থ্য দফতরের )

এই বিশেষ বাঁশের খাঁচাকে বলা হয় ‘পরকো’। সেচ দফতরের দাবি, ভাঙন ঠেকাতে মাটি বস্তা বা ইটের টুকরোর চেয়ে এই পরকো অনেক বেশি কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে বাঁশের খাচার মধ্যে ইট ভরে জলে বসানো হয়। খাঁচার আকৃতি বিশেষ ধরনের হওয়ার ফলে সহজে জলের স্রোত প্রতিহত করা সম্ভব হয়। মাটির বস্তা বা ইটের টুকরোর ক্ষেত্রে দেখা যায় জলের স্ট্রোতে সেই বাঁধ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। সেই তুলনায় বাঁশের খাঁচা বানিয়ে ভাঙন রোধ অনেক বেশি কার্যকরী বলে দেখা গিয়েছে।

এর আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার জগদীশপুরের বাঁশতলায় প্রায় ৬০ মিটার পর্যন্ত নদী বাঁধ মেরামতিতে এই বাঁশের খাচা ব্যবহার করা হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এতে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, নদীর মোহনার কাছে পাড় ঘেষে বড় বড় মালবাহী জাহাজ চলাচল করা ফলে জলের ধাক্কায় বাঁধ পারের ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কিন্তু বাঁশের খাঁচার আকৃতি কিছুটা ভিন্ন ধরনের হওয়ার কারণে জলের স্রোত প্রতিহত হয়। একই পদ্ধতিতে পার বাঁধ দেওয়া হয়েছে দানিপুরের কাছে রূপনারায়ণে। শুধু মোহনা অঞ্চলেই নয় যে সব অঞ্চলে নদী খরস্রোতা সেখানে এই বাঁশের খাঁচা খুবই কার্যকরী বলে দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি এতে ভাঙন কমছে, পলি সঞ্চয় হচ্ছে।

কী ভাবে এই খাঁচা করা হচ্ছে?

নদীর দিক বরাবর চারস্তরে ৩০ মিটার চাওয়া বাঁশের খাঁচা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম স্তরে থাকছে নীচ থেকে চারটি, দ্বিতীয় স্তরে নীচ থেকে তিনটি, তৃতীয় স্তরে দুটি এবং চতুর্থ স্তরে একটি করে খাঁচা দেওয়া হচ্ছে। এতে ভাঙনও কমছে পলিও সঞ্চয় হচ্ছে।

সেচ দফতরের পরিকল্পনা, আস্তে আস্তে ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে এই ভাবেই বাঁধ দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।