Tax fraud: ১৭৬ কোটি টাকা GST ফাঁকি দিয়ে বিদেশে পালাতে গিয়ে এয়ারপোর্টে ধৃত মূল পান্ডা

১৭৬ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলায় মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করলেন গোয়েন্দারা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই বিমানবন্দর থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে জিএসটি গোয়েন্দা সংস্থার চেন্নাই ইউনিট ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃত করযোগ্য মূল্যের জাল রশিদ মামলায় জড়িত রয়েছেন। দিন কয়েক আগেই ওই ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মূল চক্রীকে গ্রেফতারে সক্ষম হন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: ৪০ কোটির আয় লুকিয়েছে BBC, আয়কর দফতরকে দেওয়া ইমেলে কার্যত ‘ভুল স্বীকার’ সংস্থার

জিএসটি গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃত মাস্টারমাইন্ড বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ৯৭৩.৬৪ কোটি টাকার করযোগ্য মূল্যের জাল রশিদ তৈরি করেছিলেন। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতরা বিদেশি সিম কার্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি বিদেশি সফটওয়্যার এক্সেস ব্যবহার করে কল করত। এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করত। তা জানার পরেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান গোয়েন্দারা।

তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃত মূল পান্ডার ২৫ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।এর আগে ২২ জুন পেরাম্বুর থেকে তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড এবং তার সহযোগীরা ব্যাঙ্ক ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে প্রথমে আধার কার্ড, প্যান কার্ড নিত। এরপর। সেগুলিকে ব্যবহার করে তাঁদের নামে জাল সংস্থা তৈরি করত। এইভাবে একাধিক সংস্থা তৈরি করেছিল জালিয়াতিরা।

এর আগে ২৯ মে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি বেসরকারি সংস্থার মালিক এবং অন্য একজনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পণ্য ও পরিষেবা করের অধীনে ১২ কোটিরও বেশি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে সেন্ট্রাল জিএসটি কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান।জানা যায়, খাদ্যশস্য ক্রয় ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ওই সংস্থা করযোগ্য মূল্যের জাল রশিদ সরবরাহ করেছিল। অভিযুক্তরা গুজরাটভিত্তিক দালালের মাধ্যমে কোম্পানির মালিককে জাল বিল সরবরাহ করেছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে দেশে জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে জালিয়াতির মাধ্যমে। তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থ বছরে এক লক্ষ কোটি টাকার কর ফাঁকি হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ১৪ হাজার কর ফাঁকির মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।