Go First Revival Big Update: শীঘ্রই মিটতে চলেছে ইঞ্জিন সমস্যা, শীঘ্রই ফের আকাশে উড়বে গো ফার্স্টের বিমান

চলতি সপ্তাহে মুম্বই এবং দিল্লিতে গো ফার্স্টের অফিসে একটি অডিট চালাচ্ছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন। গত ৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই অডিট চলবে আজকে পর্যন্ত। উড়ান সংস্থাটি যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখতেই এই অডিট। এরই মাঝে একটি বড় আপডেট এল গো ফার্স্ট নিয়ে। জানা গিয়েছে, মার্কিন সংস্থা ‘প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি’ গো ফার্স্টকে ইঞ্জিন দিতে এবং ভারতের নিয়ম মেনে ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির জন্য সম্মত হয়েছে। এই আবহে আশা করা হচ্ছে, ফের দ্রুতই আকাশে উড়তে দেখা যাবে গো ফার্স্টের বিমানকে। (আরও পড়ুন: রকেটের সঙ্গে জুড়ে গেল চন্দ্রযান ৩, চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু কবে?)

উল্লেখ্য, বসে যাওয়ার আগেও গো ফার্স্টের বিমানে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি সংস্থারই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হত। তবে অর্থের অভাবে সেই ইঞ্জিন আনা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছিল গো ফার্স্ট। তাছাড়া অর্থের অভাবে ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণও সম্ভব হচ্ছিল না। এদিকে যন্ত্রাংশও মিলছিল না বলে অভিযোগ করেছিল গো ফার্স্ট। কয়েক হাজার কোটির লগ্নি এবং ঋণেও সংস্থার হাল ফেরেনি অতীতে। তবে নতুন করে সংস্থাকে পুনরুজ্জীবি করতে উদ্যোগী হয়েছে সংস্থার কর্তারা। প্রসঙ্গত, গো ফার্স্টের কাছে মোট ৫৯টি বিমান রয়েছে। সংস্থার কর্মী সংখ্যা ৫ হাজার। এই আবহে এই সংস্থার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেশের বাণিজ্যিক মহল।

এই আবহে বিমান সংস্থাটির সিইও কৌশিক খোনা সহ সংস্থার পদস্থ আধিকারিকরা বৈঠকে বসেছিলেন সম্প্রতি। গো ফার্স্টকে পুনরুজ্জীবিত করতে ডিজিসিএ-র কাছে পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন তাঁরা। সব মিলিয়ে ২৬টি বিমানকে ফের আকাশো ওড়াতে চাইছে গো ফার্স্ট। তার মধ্য়ে ২২টিকে ব্যবহার করা হবে। চারটি বিমানকে স্ট্যান্ড বাই অবস্থায় রাখা হবে। ২২টি বিমানবন্দর থেকে ৭৮টি রুটে দৈনিক ১৬০টি উড়ান পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে কথা চলছে। এর আগে গত মে মাসে স্বেচ্ছায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য ন্যাশমাল কোম্পানি ল’ ট্রাইবুনালের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছিল গো ফার্স্ট কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি জানায়, নগদের অভাবে যাত্রীদের উড়ান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তারা। তবে এখন তারা ফের আকাশে ডানা মেলতে প্রস্তুত। এই আবহে ডিজিসিএ যদি তাদের অডিটে সন্তুষ্ট থাকে, তাহলেই সবুজ সংকেত মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।