Opposition MPs walkout: মণিপুর নিয়ে আলোচনা হবে না কেন? মিটিং থেকে ওয়াক আউট কংগ্রেস-তৃণমূলের, ফাটাফাটি ঐক্য

সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং থেকে ওয়াক আউট করলেন বিরোধী দলের তিন সাংসদ। বৃহস্পতিবার তাঁরা মণিপুরের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সেই দাবি মানা হয়নি। এরপরই তাঁরা ওই মিটিং থেকে ওয়াকআউট করেন।

সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতা দ্বিগবিজয় সিং, প্রদীপ ভট্টাচার্য ও তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন এদিন মিটিং থেকে ওয়াক আউট করেন। মিটিং শুরু হওয়ার দশ মিনিটের মধ্য়েই তাঁরা মিটিং থেকে ওয়াক আউট করেন। মূলত এদিন সংশোধনাগারগুলির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধীদের একাংশ। কিন্তু সেই দাবি প্রত্যাখান করা হয়। এরপরই পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি অন হোম অ্যাফেয়ার্স থেকে ওয়াক আউট করেন ওই তিন সাংসদ।

এরপর চেয়ারম্যান ব্রিজ লালের কাছে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন একটি প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,মণিপুরের হিংসা একটা সিরিয়াস ব্যাপার। আপনি পুলিশ অফিসার ছিলেন। আপনি বিষয়টির গুরুত্ব আশা করি বুঝবেন। মণিপুরের এই হিংসা বন্ধ হওয়া দরকার। সেই সঙ্গেই লেখা হয়েছে, গত মাসেও কয়েকজন এমপি এনিয়ে চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও মিটিং ডাকা হয়নি। মণিপুর বিষয়ে কোনও মিটিং ডাকা হচ্ছে না। চেয়ারম্যানের এনিয়ে মিটিং ডাকা দরকার ছিল।

এক বিরোধী নেতা জানিয়েছেন, নন এনডিএ পার্টি শুক্রবারও সম্ভবত এই প্যানেলের মিটিং বয়কট করবেন। মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা না করলে এটা চলতেই থাকবে। অন্যদিকে অপর এক নেতৃত্বের দাবি, দেখলেন তলায় তলায় কংগ্রেস আর তৃণমূলের মধ্য়ে কেমন বোঝাপড়া। এটাই হল ঐক্য।

এদিকে সূত্রের খবর দিগ্বিজয় সিং গত মাসে ব্রিজলালকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মণিপুরের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৫০,০০০ মানুষকে অন্যত্র সরাতে হয়েছিল। আর কুকি আর মৈতেয়ীদের মধ্য়ে এই লড়াই একেবারে সাম্প্রদায়িক দিকে মোড় নিয়েছিল। প্রায় ২৫০ গির্জা ও ১০০ মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছিল। ২০০০ বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছিল। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, জেলের পরিস্থিতি নিয়ে পরেও আলোচনা করা যাবে। কিন্তু এখন মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলা দরকার।