Parkinson’s disease: স্মার্ট ঘড়িই বলে দেবে পারকিনসনস হবে কি না! কত বছর আগে? জানালেন বিজ্ঞানীরা

স্মার্টওয়াচের দৌলতে এখন শরীর স্বাস্থ্যের নানা খোঁজই পাওয়া যায়। প্রেশার কত, কতটা হাঁটলাম ইত্যাদি অনেক তথ্যই দেয় প্রযুক্তির এই অভিনব আবিষ্কার। তবে এবার কঠিন রোগের পূর্বাভাসও দিতে পারবে স্মার্টওয়াচ। সম্প্রতি এক গবেষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এভাবেই কাজে লাগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশেষ হিসেব নিকেশ সাত বছর আগেই একটি কঠিন রোগের প্রবণতা ধরে ফেলতে পারছে। আর সেই রোগটির নাম পারকিনসনস ডিজিজ। উপসর্গগুলি ফুটে ওঠার সাত বছর আগেই রোগী জেনে যাবেন রোগটি তাঁর হতে পারে কিনা। প্রসঙ্গত, সাত বছর আগে পারকিনসনস ডিজিজের পূর্বাভাস পেলে চিকিৎসার ব্যাপারে বড় সুবিধা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগাম পূর্বাভাসের দরুণ রোগটিকে আটকানোর জন্য জরুরি ব্যবস্থা নিতে পারবে চিকিৎসকরা। এর চিকিৎসা একমাত্র প্রতিরোধ কারণ এখনও পর্যন্ত রোগটির কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। 

১২৩ বছরের রেকর্ড ভাঙল রাজস্থানের বৃষ্টি! গোটা জুলাই নাকি এমনই থাকবে

সমকামী বিবাহে সম্মতি নেপাল সুপ্রিম কোর্টের, ঐতিহাসিক রায়ে সরকারকে বিশেষ নির্দেশ

কীভাবে কাজ করবে এই নতুন আবিষ্কৃত স্মার্টওয়াচ? তাও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মাত্র সাতদিনের মধ্যে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করে নেবে এই ঘড়ি। এর পর সেই তথ্যই বিশ্লেষণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তা থেকেই জানা যাবে ওই ব্যক্তির পারকিনসনস ডিজিজ হওয়ার কোনও আশঙ্কা রয়েছে কিনা। সম্প্রতি ওই গবেষণায় প্রথমে অংশগ্রহণকারীদের হাঁটাচলার গতিকে রেকর্ড করা হয়। একটি বিশেষ এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)-এর সাহায্যে রেকর্ডিংটি করা হয়। এই এআই-ই পারকিনসনস ডিজিজ হওয়ার প্রবণতা আছে কি না বলে দিতে পারে। ইউকে ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ইনোভেশন ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এই গবেষণা করেছেন। তাঁদের কথায়,পারকিনসনস ডিজিজের চিকিৎসার জন্য এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে চিকিৎসকরা অনায়াসেই কাজে লাগাতে পারেন।

পারকিনসনস রোগটি আসলে কী? বিজ্ঞানীদের কথায়, এই রোগে মস্তিষ্ক থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ হয় না। এর ঘাটতিতে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে থাকে। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলে। কেন পারকিনসনস ডিজিজ দেখা দেয়? চ্যারিটি পারকিনসনস ইউকের মতে, এর কারণ এখনও জানেন না বিজ্ঞানীরা। তবে মনে করা হয়, চারপাশের পরিবেশ, বয়স ও জিনগত কারণে এই রোগটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর মূল উপসর্গ হল শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাঁপতে থাকা।