Research on Elephants: রোজ একই খাবার খেতে ভালো লাগে না চাই স্বাদবদল! হাতি নিয়ে জানা গেল আজব কথা

মানুষের খাদ্যাভাসের ব্যাপারে তো কমবেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু হাতির খাওয়াদাওয়া কেমন? সেই বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়েই নয়া তথ্যের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। জানা গেল হাতিরা নাকি রোজ এক খাবার খেতে মোটে ভালোবাসে না। রাতের বেলা খাবারে একটু রকমফের হবে, এটাই তাদের প্রত্যাশা। সম্প্রতি কেনিয়া থেকে নিয়ে আসা হাতির উপর একটি অভিনব পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন জীববিজ্ঞানীরা। তাদের দুই দলে ভাগ করে নিয়ে তাদের খাবার নিয়েই পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখান থেকেই খোঁজ মিলেছে তাদের রসনা কী চায়। রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্সের প্রকাশিত ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাতিরা মোটেই এক খাবার রোজ খেতে ভালোবাসে না। তাদেরও রুচি অরুচি বলে একটা জিনিস আছে। আর তাকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই চলে তারা। তবে হঠাৎ এমন গবেষণার কারণটাই বা কী?

১২৩ বছরের রেকর্ড ভাঙল রাজস্থানের বৃষ্টি! গোটা জুলাই নাকি এমনই থাকবে

সমকামী বিবাহে সম্মতি নেপাল সুপ্রিম কোর্টের, ঐতিহাসিক রায়ে সরকারকে বিশেষ নির্দেশ

বিজ্ঞানীরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাঁরা প্রাণী সংরক্ষণের কাজে যুক্ত, তাদের পশুখাদ্য নিয়ে তলিয়ে ভাবতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, পশুদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার না পেলে ঠিকমতো বিকাশ হয় না পশুদের। এর ফলে প্রকৃতি বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়। তাই একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির পশু কেমন খাবার খায়, কোন মরসুমে কোন খাবার তার দরকার, এগুলির বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। সেই কারণেই পশুদের খাদ্যাভাস সম্পর্কে গবেষণার প্রয়োজন। বিজ্ঞানীদের কথায়, হাতির খাদ্যাভাস নিয়ে গবেষণাও শুরু হয়েছিল তেমনই একটি তাগিদ থেকে। গবেষণার শেষে এমন ফলাফলে পৌঁছে রীতিমতো অবাক হয়েছেন গবেষকরা। সংবাদ মাধ্যমকে তাঁরা জানান, হাতির খাওয়ার ইচ্ছে অনিচ্ছে মানুষের মতোই কাজ করে। রোজ রাতে এক খাবার খাওয়ালে  অরুচি আসতে পারে তাদের।

এর পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা জানান, খাদ্যাভাস ঠিকমতো জানা গেলে গণ্ডার, হাতি ও বাইসনের মতো প্রাণীদের জনসংখ্যা বাড়ানো সম্ভব। এই প্রজাতিগুলি যাতে বিলুপ্তির পথে চলে না যায়, তার জন্য তাদের খাবারেই বেশি জোর দিতে পারে। একইসঙ্গে এই গবেষণায় জানা গিয়েছে, হাতির পালের কিছু বৈশিষ্ট্যও। হাতির পাল কীভাবে তাঁদের  খাবার খুঁজে বার করে, সেই সম্পর্কেও একাধিক তথ্য জানিয়েছে রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্সে প্রকাশিত ওই গবেষণা।