Boy tortured by Father: দড়ি দিয়ে বেঁধে শিশুর আঙুলে পেরেক গেঁথে দিত বাবা, নারকীয় কাণ্ড অসমে

বিশ্বকল্য়াণ পুরকায়স্থ

একে নারকীয় কাণ্ড বললেও মনে হয় খুব কম বলা হয়। অসমের তিনসুকিয়া জেলায় চার বছর বয়সি একটি শিশুকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তার বাবার বিরুদ্ধে উঠেছে। পুলিশ ওই শিশুকে কোনওরকমে উদ্ধার করে। পুলিশ গিয়ে দেখে শিশুটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ওই শিশুর সারা শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে। বিশেষত তার হাতে আঘাতের দাগ রয়েছে।

পুলিশ জানতে পেরেছে ওই বাবা হাতুড়ি দিয়ে তার হাতে পেরেক গেঁথে দিত। একেবারে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। তিনসুকিয়ার পুলিশ সুপার গৌরব অভিজিৎ দিলীপ জানিয়েছেন, সন্তোষ দেবনাথ নামে ওই বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ওই একরত্তি ফুটফুটে শিশুকে এভাবে নারকীয় নির্যাতনকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই টিম গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে। এরপর বাচ্চাটিকে নির্যাতন করার অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হয়। তদন্ত চলছে।

সূত্রের খবর, এক গাড়ি চালকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই শিশুর মায়ের। তবে বছর দুয়েক হল তারা একসঙ্গে থাকতেন না। কিন্তু শিশুটি ওই গাড়ি চালকের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল। এরপর সেই শিশুটির উপর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন।

ওই শিশুর মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই শিশুর উপর অত্যাচার করে। শিশুটিকে বেধে রেখে দেয়। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। শিশুর আঙুলে হাতুড়ি আর পেরেক দিয়ে বার বার আঘাত করে। হাতে গভীর ক্ষত হয়ে যায়। তবু তাকে ছাড়ে না।

পুলিশ সূত্রে খবর, তারা দড়ি দিয়ে বাধা অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। তার আঙুলে মারাত্মক জখম রয়েছে। একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। কিন্তু বাবা হয়ে কীভাবে শিশুর উপর এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাচ্চাটির হাত পা দড়ি দিয়ে বাধা ছিল। শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। হাতে কাটার দাগ। আমরা তাকে ডিগবয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি মেডিকেল চেক আপের জন্য। ওই শিশুকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পেশ করা হবে। সেখানেই তার বয়ান রেকর্ড করা হবে।