Gita Press: গীতা প্রেসের প্রতি টান ছিল গান্ধীজিরও…জানালেন প্রধানমন্ত্রী

দুদিনের একেবারে ঠাসা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গোরক্ষপুর বিমানবন্দর থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে যান তিনি। সেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে অভ্যর্থনা করেন। সকালের দিকে রায়পুরে বিজয় সংকল্প সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখান থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে একের পর এক তির ছোঁড়েন তিনি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যারা দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে তারাই এখন বিরোধী ঐক্যের কথা বলছে। তিনি বলেন, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা বিদ্বেষমূলক কথা বলত তারাই এখন পরস্পরের সঙ্গে জোট বাধতে চাইছে।

তিনি জানিয়ে দেন, কংগ্রেস পার্টির একেবারে মূলে রয়েছে দুর্নীতি। দুর্নীতি ছাড়া কংগ্রেস শ্বাস নিতে পারে না। দুর্নীতি হল কংগ্রেসের আদর্শ।

গীতা প্রেসের অনুষ্ঠানেও অংশ নেন মোদী।

প্রসঙ্গত গোরক্ষপুরে ১৯২৩ সালে তৈরি হয়েছিল এই গীতা প্রেস। গান্ধী শান্তি পুরষ্কার ২০২১এর জন্য বিবেচিত হয়েছিল এই গীতা প্রেস। মোদী বলেন, গীতা প্রেস হল বিশ্বের একমাত্র ছাপাখানা যেটা শুধু কোনও সংস্থা নয়, এটা হল একটা বিশ্বাস। এটা কোটি মানুষের কাছে একটা মন্দির। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গীতা প্রেস ১০০ বছর পার করেছে। আমাদের সরকার গান্ধী শান্তি পুরষ্কার দিয়েছে গীতা প্রেসকে। গান্ধীজিরও এই গীতাপ্রেসের প্রতি আবেগ ছিল। তিনি কল্য়াণ পত্রিকার মাধ্য়মে এই গীতা প্রেসের কথা তুলে ধরেছিলেন।

দুটি বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। গোরক্ষপুর -লখনউ ও যোধপুর-আমেদাবাদের মধ্য়ে সংযোগকারী এই দুই বন্দে ভারত। গোরক্ষপুর রেল স্টেশন পুনরায় উন্নয়নের শিলান্যাস করেন তিনি। সরকারি প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বারানসীতে অন্তত ১২,১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্য়ায় জংশন ও সন নগর রেললাইনের সূচনা করবেন তিনি।

৫৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বারাণসী-জৌনপুর সেকশনের চার লেনের প্রশস্তিকরণের সূচনা করবেন। এরপর মণিকর্নিকা ও হরিশ্চন্দ্রঘাটের সংস্কারের সূচনা করবেন তিনি। দুদিনের সফর। চার রাজ্যকে ছুঁয়ে যাবেন তিনি। ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও রাজস্থান। শনিবার শেষ হচ্ছে তাঁর এই সফর।