Maharashtra Bus Accident: মদ খেয়ে চালাচ্ছিলেন চালক, মহারাষ্ট্রের বাস দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

গত ১ জুলাই ২০২৩। একেবারে শিউরে ওঠার মতো দুর্ঘটনা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। নাগপুর থেকে পুনের দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রী বোঝাই বাস। সেই সময় মহারাষ্ট্রের সমৃদ্ধি এক্সপ্রেসওয়েতে মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাসটি। একেবারে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ২৫জন যাত্রী জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

সেই বাসের চালক ছিলেন শেখ ড্যানিস। ওই চালকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিল রিজিওনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি। তাদের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই বাস চালক আইনগতভাবে যতটা অ্যালোকোহল থাকা দরকার তার থেকে অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি অ্য়ালকোহল তার রক্তে ছিল। মহারাষ্ট্রে আইনত সিদ্ধ অ্যালোকোহলের মাত্রা হল ১০০ মিলি রক্তে ৩০ মিলিগ্রাম অ্যালকোহল। অর্থাৎ পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ওই চালক মদ্যপ অবস্থায় বাস চালাচ্ছিলেন। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা কি না সেটা দেখা হচ্ছে।

তবে বাসটি পুড়ে একেবারে ছারখার হয়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয় একাধিক যাত্রীর।

ইতিমধ্য়েই মৃত ২৩ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। আরও দুজনের দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে প্রচন্ড সংঘর্ষের জেরে ডিজেলের ট্যাঙ্কে আগুন ধরে যায়। এর জেরে বাস ছেড়ে আর বের হতে পারেননি যাত্রীরা। সেখানেই আগুন ধরে যায়।

তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে টায়ার ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনা হয়েছিল বলে যেটা বলা হচ্ছিল সেটা ঠিক নয়। এদিকে প্রাথমিকভাবে একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বোঝা যাচ্ছিল যে হয়তো বাস চালাতে চালাতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ওই চালক। তার জেরেই তিনি আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বাসের। সোজা গিয়ে রাস্তার পাশের ডিভাইডারে ধাক্কা দেয় বাসটি। বাসটি মূলত স্লিপার ক্লাসের ছিল। বাসটিকে কার্যত স্লিপার ক্লাসে বদল করা হয়েছিল। সেই বাসেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

এদিকে সূত্রের খবর, অতীতে একাধিক বার এই বাসটিকে জরিমানা করা হয়েছিল। অন্তত ২৫ বার এটি ট্রাফিক নিয়ম ভেঙেছিল বলে চালান কাটা হয়েছিল। মাত্র ৬ বার সেই জরিমানা দিয়েছিলেন মালিক। এবার সেই বাসের দুর্ঘটনারক পেছনে বড় কারণ সামনে এল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওই বাস চালকের কমপক্ষে ১০ বছর জেল হতে পারে। জরিমানাও হতে পারে।

তবে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ফলে পরিস্থিতি কী হতে পারে সেটা এই বাসের ঘটনাতে ফের আরও একবার সামনে এল।