Oil price: আবার কি বাড়বে তেলের দাম? রাশিয়া থেকে আমদানিতে ভাঁটা পড়ার আশঙ্কা

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধার পর আবারও রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলল রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পরিসংখ্যান। যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই পশ্চিমী বিশ্বের দেশগুলি রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে পশ্চিমী বিশ্বে রাশিয়ার ব্যবসায়িক গতিবিধি অনেকটাই আটকে যায়। তবে ভারতের কাছে এ একরকম শাপে বর হয়। ভারত এই গোটা সময় রাশিয়া থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে। তেল কেনার হার এতটাই বেড়েছে যে, পর পর বেশ কয়েক মাস তা ছিল রেকর্ড পরিমাণ‌। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার  ওপেক (অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ) দেশগুলির তরফে তেল রপ্তানিতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দৈনিক তেল বিক্রির উর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে‌‌। এর ফলে ভারতের তেল বিক্রেতা তালিকায় সৌদি আরব ও ইরাককে ছাপিয়ে গিয়েছে রাশিয়া‌। 

ইমোজির জেরে ৫০ লাখ জরিমানার নির্দেশ বিচারপতির, কেন এমন রায়

এই দোকানে চা খেলে ভয়ে কাঁপে শরীর! তার পরেও সবাই কেন দলে দলে ওমুখো হন

বর্তমানে ভারত সারা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় তেল ক্রয়কারী দেশ। সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার তেলের প্রধান ক্রেতা হল ভারত‌‌। কেপলারের ক্রুড অয়েল অ্যানালিসিসের কর্তা ভিকটর কাটোনা বলেছেন, জুনের এক দিন ভারতের তেল আমদানির হার ২২ লাখ ব্যারেলও ছুঁয়েছে। যা পর পর ১০ মাস রেকর্ড ছুঁয়েছে। মে মাসে ১৯.৫ লাখ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কিনেছিল ভারত‌। যা ওই মাসে সৌদি আরব ও ইরাকের জোড়া আমদানি ছাড়িয়ে যায়‌। তেল ক্রয়ের পরিসংখ্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছে, গত মাসেও তেল কেনার হার সৌদি আরব ও ইরাকের জোড়া আমদানিকে ছাপিয়ে গিয়েছে‌। তবে চলতি মাসে এই তেল আমদানিতেই ভাঁটা পড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে রাশিয়ার তরফে চলতি মাসে তেল রপ্তানিতে ভাঁটা পড়তে পারে‌। যার নিরিখে অনেকটাই কমবে তেল আমদানির হার‌।

অন্যদিকে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই মাস ভারতের তেল ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। এর পরেই রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রাশিয়ার তেল বর্তমানে ভারতের আমদানি করা তেলের ৪০ শতাংশ। ইরাক থেকে গত তিনবছরে তেল কেনার হার অনেকটাই কমেছে। অন্য দিকে সৌদি আরব থেকেও তেল কেনার হার কমিয়ে দিয়েছে ভারত। এপ্রিল মাসে রাশিয়া থেকে কেনা প্রতি টন তেলের দাম ছিল ৫০০ ডলার‌। সৌদি আরব থেকে কেনা তেলের দাম সেখানে ৬৩৭.৪ ডলার ও ইরাক থেকে কেনা তেলের দাম পড়েছিল ৫৭০ ডলার‌‌।