Pak Man urges Modi Govt: মোদী সরকারের কাছে হাতজোড় করে স্ত্রী, সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি পাকিস্তানির! কী ঘটেছে?

খবরটা কিছুদিন আগেই হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, পাকিস্তান থেকে ৪ সন্তান নিয়ে ভারতে অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ করেছেন সীমা হায়দর নামে এক পাকিস্তানি মহিলা। তিনি নেপালের পথে ভারতে আসেন। আর আসেন তাঁর প্রেমিক জনৈক সচিনের টানে। সন্তানদের নিয়ে সীমা , তাঁর প্রেমিক সচিনের সঙ্গে থাকতেও শুরু করেন। সেই খবর জানাজানি হতেই তা পাকিস্তানে তাঁর স্বামীর কাছে পৌঁছয়। সীমার স্বামী শেষমেশ করজোড়ে মোদী সরকারের কাছে স্ত্রী পুত্রদের পাঠিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান।

গ্রেটার নয়ডার সচিন মিনার সঙ্গে পাকিস্তানের সীমা হায়দারের আলাপ পাবজি খেলতে গিয়ে। সেই আলাপ গড়ায় সম্পর্কে, যা প্রেমের সম্পর্কের রূপ নেয়। সেই প্রেমের টানে সীমা ভারতে চলে আসেন ৪ সন্তানকে নিয়ে। এদিকে, খবর জানাজানি হতেই তা মিডিয়ার নজর কাড়ে। খবর সম্প্রচারিত হয়। পুলিশ নামে তদন্তে। সচিন ও সীমাকে গ্রেফতার করা হয়। সীমাকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, সেই খবরের ক্লিপ ভাইরাল হয়। খবর পৌঁছয় পাকিস্তানে সীমার স্বামীর কাছে। সীমার স্বামী গুলাম হায়দার এরপর একটি ভিডিয়োয় হাত জোড় করে মোদী সরকারের কাছে স্ত্রী ও পুত্রকে পাকস্তানে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। তিনি এক ভিডিয়ো বার্তায় জানান, তিনি এতদিন জানতেন না যে তাঁর স্ত্রী কোথায় রয়েছেন। ভারতীয় মিডিয়া রিপোর্ট মারফৎ তিনি জানতে পারেন যে তাঁর স্ত্রী, ৪ সন্তানকে নিয়ে চলে গিয়েছেন পাকিস্তানে। সেকথা জানতে পেরেই তিনি ভারতের মোদী সরকারের কাছে স্ত্রী ও সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘আমি মোদী সরকারকে আর্জি জানাচ্ছি,আমার স্ত্রী সীমা ও চার সন্তান, ফারহান, ফারওয়া, ফারহা, ফারহিনকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে। আমি খুব চিন্তায়, দয়া করে সাহায্য করুন।’

( Video: সিন্ধুনদ পার করে শত্রু ঘাঁটি দমনের লক্ষ্য! লাদাখে ঝড় তুলল ভারতীয় সেনার মহড়া)

উল্লেখ্য, বর্তমানে পাকিস্তানে নেই সীমার স্বামী। তিনি সৌদি আরবে বর্তমানে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকেই তিনি ওই ভিডিয়ো বার্তা প্রেরণ করেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সাল থেকে সীমা হায়দার ও সচিন মিনার মধ্যে কথাবার্তা হয়। একে অপরের সঙ্গে পাবজি খেলতে গিয়ে পরিচিত হন। খেলার মাধ্যমে সেই প্রেম গভীরতা পায়। তারপরই সন্তানদের নিয়ে নেপালের পথে অবৈধভাবে সীমা ভারতে প্রবেশ করেন। যদিও গ্রেটার নয়ডা পুলিশ সচিন মিনা, তাঁর বাবা নেত্রপাল মিনা ও সীমান হায়দারকে গ্রেফতার করেছিল, তবে পরে তাঁজের জামিনে মুক্তি দেয়।