White house on Global warming: সূর্যের আলো আটকেই কি কমবে উষ্ণায়ন? গবেষণায় নামল আমেরিকা

পৃথিবীপৃষ্ঠে সূর্যের আলো আটকে কি বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখে দেওয়া যেতে পারে? কী বলছে বিজ্ঞান? আর যদি সত্যি সূর্যের আলোকে রুখে বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানো যায়, তবে‌ কীভাবেই বা তা সম্ভব? কীভাবে বিশাল পৃথিবীকে সূর্যের আলো থেকে ঢেকে রাখা যায়? সম্প্রতি এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজতে শুরু করেছে হোয়াইট হাউস। বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে তাদের এক বিবৃতিতে। কী বলা হয়েছে সেখানে? জানানো হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নকে অনেকটাই গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। এর জন্য সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে একটি বিশেষ শাখাও গুরুত্ব পাচ্ছে বিজ্ঞানে। সেই শাখার জোরেই উষ্ণায়নের সমস্যাগুলি কমানো সম্ভব কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে বিজ্ঞানীরা‌। কিন্তু আদতে কী ব্যবস্থা নিতে চাইছে বাইডেনের হোয়াইট হাউস?

ইমোজির জেরে ৫০ লাখ জরিমানার নির্দেশ বিচারপতির, কেন এমন রায়

এই দোকানে চা খেলে ভয়ে কাঁপে শরীর! তার পরেও সবাই কেন দলে দলে ওমুখো হন

সম্প্রতি তাদের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উষ্ণায়ন একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থাতে পৃথিবীকে রক্ষা করতে কোনওভাবে সূর্যের আলোকরশ্মি আটকানো সম্ভব কী? সেই পথই খুঁজছে বাইডেন প্রশাসনের বিজ্ঞানীরা। সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি বিশেষ বিজ্ঞানের ধারাকে ব্যবহার করা হচ্ছে এই কাজে। তবে সূর্যালোক পৃথিবীপৃষ্ঠে না পৌঁছালে আরও কিছু ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। ফলে উভয় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এবার সেদিক নিয়েই চলবে হিসেবনিকেশ। সূর্যের আলো পৃথিবীতে না এলে উষ্ণায়নের হার কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু কী কী ক্ষতি হতে পারে এতে?

সূর্যের আলো ঠিকমতো পৃথিবীতে না এলে প্রথমেই উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষে বাধা তৈরি হবে। গাছের সালোকসংশ্লেষের অন্যতম জরুরি উপাদান হল সূর্যালোক। ওই আলো না থাকলে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্লিশেষিত হবে না। ফলে উৎপন্ন হবে না অক্সিজেন। এতে আরেক বিপত্তির আশঙ্কা রয়েছে। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের মূল কারণ কিন্তু কয়েকটা বিষাক্ত গ্যাস। এদের বিজ্ঞানের ভাষায় গ্রিন হাউস গ্যাস বলা হয়।  কার্বন ডাই অক্সাইড সহ আরও বেশ কিছু গ্যাস এভাবেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে গাছ কাটার হারও বাড়ছে। দুইয়ের জোড়া হানায় বাড়ছে গ্রিন হাউস গ্যাস। যার জেরেই বাড়ছে উষ্ণায়ন। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতেই নয়া পথের খোঁজ করছেন বিজ্ঞানীরা। হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের তরফেও এবার তেমনই ইঙ্গিত মিলিছে তাদের বিবৃতিতে।