Aditya on Maha Politics: ইস্তফার প্রস্তাব কার কাছে? মহারাষ্ট্রে কি ফের টালমাটাল কিছু ঘটতে পারে! বোমা ফাটালেন আদিত্য

সদ্য মহারাষ্ট্রের রাজনীতি দেখেছে এনসিপির শরদ ক্যাম্প ছেড়ে অজিত পাওয়ারের এনডিএ জোটে যোগদানের দৃশ্য। গোটা জাতীয় রাজনীতিকে কাঁপিয়ে অজিত সদ্য শপথ নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। এই পরিস্থিতিতে শিবসেনার একনাথ শিন্ডে ক্যাম্পকে খোঁচা দিয়ে বড়সড় বোমা ফাটালেন অদিত্য ঠাকরে। তাঁর দাবি একনাথ শিন্ডেকে ‘ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল’। আর তার হাত ধরে কোনও বড় পরিবর্তন মারাঠা রাজনীতিতে আসতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা।

অদিত্যর দাবি, অজিত ক্যাম্প তার মোট ৯ বিধায়কের সঙ্গে এনডিএ তে যাওয়ার ফলে, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর বড়সড় বিপত্তি আসতে পারে। আর সেই সংকট মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ঘিরে হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে অজিত পাওয়ারের মন্ত্রিসভায় দুই উপমুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও এনসিপির অজিত পাওয়ার। এই পরিস্থিতিতে আদিত্য বলছেন, ‘আমি শুনেছি মুখ্যমন্ত্রীকে (মহারাষ্ট্রের) ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। সরকারে কিছু পরিবর্তন হতে পারে।’ এদিকে, উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের আদিত্য যখন এমন বার্তা দিচ্ছেন, তখন শিবসেনার ওই ক্যাম্পেরই সঞ্জয় রাউত বলছেন, ‘ যখন থেকে অজিত পাওয়ার ও বাকি এনসিপি নেতারা যোগ দিয়েছেন সরকারে তখন থেকেই ১৭-১৮ জন শিন্ডে ক্যাম্পের বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’ এদিকে, শিবসেনার শিন্ডে ক্যাম্প সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রীর কুর্সি থেকে এখনই ইস্তফা দিচ্ছেন না একনাথ শিন্ডে। এছাড়াও এনসিপির বিদ্রোহী বিধায়করা মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দেওয়ায় শিন্ডে ক্যাম্পের বিধায়কদের মধ্যে কোনও ক্ষোভ নেই বলেও জানানো হচ্ছে।

(Video: সিন্ধুনদ পার করে শত্রু ঘাঁটি দমনের লক্ষ্য! লাদাখে ঝড় তুলল ভারতীয় সেনার মহড়া)

(Russia Ukraine War: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ৫০০ তম দিনে ইউক্রেনের ‘স্বাধীন দ্বীপ’ থেকে পুতিনের দেশকে খোঁচা জেলেনস্কির )

একনাথ শিন্ডে শিবিরের তরফে উদয় সামন্ত বলছেন, ‘আমরি ইস্তফা দিইনা, বরং নিই। তাঁর নেতৃত্ব অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে, আর ধৈর্য ধরুন। গতকালই সব বিধায়ক ও সাংসদরা একনাথ শিন্ডের ওপর আস্থা জানিয়েছেন। এই সব (খবর) একনাথ শিন্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে করা হচ্ছে।’ গত বছর তৎকালীন উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া শিবসেনার একনাথ শিন্ডে ক্যাম্পের দাবি, অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠী তাঁদের সঙ্গে হাত মেলানোর অর্থ হল ওই ক্যাম্পে সেভাবে বিশেষভাবে কিছু হচ্ছিল না, বা জোটে সমস্যা ছিল। ফলে ‘গদ্দার’ বলে যে তকমা তাদের দেওয়া হয়েছিল শিবসেনায় ভাঙনের পর, তা এই যোগদানে তা ঘুচে যাচ্ছে বলেও দাবি ছিল শিন্ডে ক্যাম্পের।