Al Qaeda leader: পশ্চিমবঙ্গে ৩টি জঙ্গি মডিউল তৈরি করে যুবকদের নিয়োগ করত ধৃত জঙ্গি আবু তালহা

কলকাতা পুলিশের সহায়তায় ঢাকা থেকে ভারতীয় আল-কায়েদার শীর্ষ জঙ্গিনেতা ইকরামুল হক ওরফে আবু তালহাকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। ধৃত জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন পশ্চিমবাংলায় তিনটি জঙ্গি মডিউল তৈরি করেছিল আবু তালহা। কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়াতে ছিল এই সমস্ত মডিউল। এগুলির উদ্দেশ্য ছিল যুবকদের জঙ্গি দলে নিয়োগ করা। ইতিমধ্যেই এই মডিউলের ১১ জনকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়ার পরেই এই সমস্ত তথ্য হাতে এসেছে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফের কাছে।

আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের তথ্যে বাংলাদেশে গ্রেফতার ভারতীয় আল–কায়েদার নেতা-রিপোর্ট

গত সপ্তাহে ঢাকার সবুজবাগ থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা আবু তালহাকে গ্রেফতার করেছিল। মূলত কলকাতা পুলিশের দেওয়া তথ্য থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আবু তালহা লকডাউন পর্বে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে সংগঠনের কাজ শুরু করে। হাওড়ার বাঁকড়া, কোচবিহারের দিনহাটা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা জায়গায় ঘাঁটি গেরেছিল এই জঙ্গি নেতা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কোচবিহারে থাকাকালীন ভুয়ো আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড বানায় আবু তালহা। এরপর সেখানকার বাসিন্দা ফারিয়া আফরিন আনিকাকে বিয়ে করে। গত এপ্রিল মাসে হাওড়া স্টেশন থেকে আবু তালহার শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তার আগেই স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশের পালিয়ে ছিল আবু তালহা। সেখানে আবু তালহার সঙ্গে তার স্ত্রীকেউ গ্রেফতার করেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। 

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই জঙ্গি মডিউল তৈরি করেছিল আবু তালহা। মধ্যপ্রদেশে প্রথম এই জঙ্গি মডিউলের সন্ধান পায় পুলিশ। এর পরে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। সেই সময় তালহা পশ্চিমবঙ্গে ছিল। ধরপাকড়ের খবর পেয়ে অসম হয়ে চোরা পথে বাংলাদেশে পালিয়ে যায় আবু তালহা। তবে সেখান থেকে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে এ রাজ্যের জঙ্গিদের নির্দেশ দিচ্ছিল শীর্ষ জঙ্গি নেতা।

উল্লেখ্য, কলকাতা এবং বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, বিহার, অসম, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন রাজ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের এই শীর্ষ নেতা। তার উদ্যোগে বিভিন্ন রাজ্যে আল–কায়েদার স্লিপার সেল তৈরি হয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি আদতে বাংলাদেশের ময়মনসিংহের বাসিন্দা। ঢাকায় পড়াশোনার শেষ করে ২০১৮ সালে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসে। সেখানে আসার পরে উত্তরপ্রদেশে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ দেয়। এর পরে শুরু করে জঙ্গি কার্যকলাপ। পুলিশের নজরে আসতেই সেখান থেকে কোচবিহারে পালিয়ে যায় ওই জঙ্গি নেতা। পরে কলকাতায় এবং সেখান থেকে জয়নগর ও মথুরাপুরে এসে ডেরা তৈরি করে। সেখান থেকেই এ রাজ্য সহ ভিন রাজ্যে জঙ্গি নিয়োগ শুরু করে ধৃত জঙ্গি নেতা।