Adani loss- হিন্ডেনবার্গের গুঁতোয় ছয় মাসে চার লাখ কোটি টাকার ক্ষতি আদানির

বিদ্যুৎ বেগে উঠতে থাকা আদানির শেয়ার ও ধন সম্পত্তির পরিমাণ জানুয়ারি থেকেই নিন্মমুখী। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের প্রভাবে ধরাশায়ী আদানি এরপরেও বারংবার সংবাদ শিরোনামে। ধনকুবের গৌতম আদানির মোট সম্পদ এই বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে আরও ক্ষতির মুখে, বলছে ব্লুমবার্গ রিপোর্ট। আদানি গ্রুপের চেয়ারপারসন গত ছয় মাসে ৬০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছেন। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপকে অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি এবং স্টক ম্যানিপুলেশনের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল, এরপরই তিনি ২৭ জানুয়ারী ২০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা কোনও শিল্পপতির একদিনে ক্ষতির বিচারে সর্বোচ্চ। অবশ্য মার্কিন গবেষণা সংস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি।

মে মাসের শুরুতে, ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ডের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা এবং আদানি গ্রুপের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট-নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ প্যানেল শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল, আদানি গ্রুপের স্টক মূল্যের হেরফের বা নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে কিনা তা এখনই প্রমাণ করা যাচ্ছে না।

২৭ জুন গৌতম আদানি ফ্ল্যাগশিপ ফার্ম আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের বার্ষিক প্রতিবেদনে, সুপ্রিম কোর্ট-নিযুক্ত প্যানেলের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বলেন তাঁর গ্রুপের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি । আদানি হিন্ডেনবার্গের  প্রতিবেদনটিকে ‘targeted misinformation’ এবং ‘outdated discredited allegations’ বলে অভিহিত করেছেন, যার উদ্দেশ্য ছিল তাঁর খ্যাতি নষ্ট করা এবং স্টক মূল্যের ইচ্ছাকৃত পতন ঘটানো।

অন্যদিকে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, এই বছরের শুরুতে বিশ্বের ৫০০ জন ধনীব্যক্তি বা সংস্থা ৮৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জন করেছে। সূচকের প্রতিটি সদস্য গত ছয় মাসে গড়ে প্রতিদিন ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডয়াল উপার্জন করেছে। ইলন মাস্ক এবং মার্ক জুকারবার্গের মধ্যে চলছে এক ছায়া যুদ্ধ। সম্প্রতি ট্যুইটর এবং ইনস্টা থ্রেডের মাধ্যমে আবারও দুই কোটিপতি একে অপরকে টেক্কা দিতে নেমেছে। দেখার বিষয় আগামীতে কে কারে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায়। ৩০ জুন পর্যন্ত এলন মাস্ক ৯৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, অন্যদিকে মেটাভার্সের সিইও মার্ক জুকারবার্গ ৫৮.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করেন।

আদানি এই ক্ষয়ক্ষতির বাজারে নতুন উদ্যমে নেমেছে গ্রিন এনার্জি প্রজেক্টগুলি নিয়ে। ভারত সরকারও গ্রিন এনার্জির পক্ষে নানান পদক্ষেপ নেওয়ায় এবং ভবিষ্যত জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আপাতত ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া আদানি।