Bengal Al Qaeda Terror module: জাল ছড়াচ্ছিল আল কায়দা, জয়নগর মডিউলের তথ্য ফাঁস,গোপন অ্য়াপে জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ

ভারতীয় আল কায়দা আকিস। তারই শীর্ষ নেতা আবু তালহাকে সম্প্রতি বাংলাদেশের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে। কিন্তু গ্রেফতার বাংলাদেশে হলেও এই জঙ্গি নেতার জাল কিন্তু ভারতেও বিস্তৃত। তাকে জেরা করে এমন তথ্য় মিলেছে বলে খবর। সবথেকে বড় উদ্বেগের বিষয় হল এই জঙ্গি নেতা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জাল বিস্তার করা শুরু করেছিল। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, জয়নগর, মথুরাপুর, বাসিন্তী সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন পয়েন্টে জাল বিস্তার করা শুরু করেছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কার্যত অবাধ যাতায়াত ছিল তার। উত্তরপ্রদেশ, অসম, বিহার, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটে সে মাঝেমধ্যে যেত। আসলে জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলগুলিকে সবসময় সক্রিয় রাখার চেষ্টা করা হত।

সূত্রের খবর, বাংলা সহ দেশের অন্তত শ দেড়েক তরুণকে আল কায়দার সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই ব্যক্তি একরামুল হক বলেও পরিচিত। তবে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই ওই ব্যক্তিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। কারণ কলকাতা পুলিশের এসটিএফ এনিয়ে খোঁজ খবর রাখছিল। বাংলায় আর কার সঙ্গে এই ব্যক্তি যোগাযোগ রাখত, কী ধরনের ছক ছিল সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ঢাকায় গিয়েছেন বলে খবর। প্রয়োজনে ধৃতকে কলকাতায় নিয়ে আসা হতে পারে। মূলত এই মডিউলটি ঠিক কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিগতদিনে এই বাংলাতেই খাগড়াগড় বিস্ফোরণের কথা সামনে আসে। বিস্ফোরণের পরে জানা গিয়েছিল কীভাবে গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো হচ্ছিল। এবার একরামুলকে জেরা করে আর কাদের নাম উঠে আসে সেটাই দেখার।

মূলত এই ধরনের সংগঠন কীভাবে কাজ করত? প্রথমে চোরাপথে প্রথে জঙ্গি দলের লোকজন গোপনে এ দেশে ঢুকত। এরপর তারা পরিচিত লোকজনের বাড়িতে থাকা শুরু করত। সেই সঙ্গেই খেয়াল রাখত তরুণদের আড্ডায়, গ্রামীণ এলাকায় কোন যুবকের মধ্য়ে চূড়ান্ত গোঁড়ামি বাসা বেঁধেছে। তারাই মূলত জঙ্গি দলের ‘পাখি’। এরপর সেই একাধিক অ্যাপের মাধ্য়মে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। নিয়মিত তাদের কাছে নানা ধরনের মেসেজ পাঠানো হত। মূলত দেখা হত কারা এই বার্তায় সাড়া দিচ্ছে। বিতর্কে অংশ নিচ্ছে। এরপর যাদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তৈরি করা হল স্লিপার সেল। তারাই আবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে তৈরি করত একাধিক গোপন ইউনিট।