Byju’s: বাইজু’র হিসেবের খাতা পরীক্ষা করে দেখবে ভারত সরকার, গরমিল পেলেই…

সিং রাহুল সুনীল কুমার

কিছুদিনের মধ্য়ে একেবারে গোটা দেশ জুড়ে অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বাইজু। এবার সেই বাইজুর হিসাবের খাতা পরীক্ষা করে দেখবে ভারত সরকার। এডুকেশন-টেকনোলজির জগতে একেবারে পরিচিত নাম বাইজু। সেই কোম্পানির অ্যাকাউন্ট এবার পরীক্ষা করে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্লুমবার্গের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ৬ সপ্তাহের মধ্য়ে একটি রিপোর্ট চেয়েছে। প্রাথমিকভাবে সংস্থার নানা হিসাবপত্র, অ্য়াকাউন্ট খতিয়ে দেখা হবে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে এনিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতারণামূলক তদন্ত করা হবে কি না।

এদিকে এই সরকারি পদক্ষেপের জেরে স্বাভাবিকভাবেই বাইজুর অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অস্বস্তিও বাড়ছে ক্রমশ। তাছাড়া এটা বাইজুর কাছে মাথাব্যাথার বড় কারণ। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু চুক্তি ওই সংস্থা ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ। আচমকাই উত্থান হয়েছিল এই বাইজু সংস্থার। তবে বাইজু সংস্থার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে সূত্রের খবর, ডেলয়েট হ্যাসকিন্স অ্যান্ড সেলস বাইজুর অডিটর পদ থেকে গত মাসে পদত্যাগ করেছিল। ফিনান্সিলাল স্টেটমেন্ট সংক্রান্ত নথি জমা দিতে দেরি করছিল বাইজু। এমনটাই দাবি করা হয়। এরপরই বাইজুর অডিটরের কাজ থেকে সরে আসে ওই সংস্থা। অন্যদিকে অপর তিনটি সংস্থার প্রতিনিধিরাও বাইজুর বোর্ড থেকে ওই সপ্তাহেই বেরিয়ে আসেন। আর তারপরই বাইজুর প্রতি বিশ্বাসেও চিড় ধরতে থাকে।

তবে এর আগে গত এপ্রিল মাসে বাইজু’স প্রধান রবীন্দ্রন বাইজুর মালিকানাধী তিনটি জায়গায় আজ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ‘ফরেন এক্সচঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে। তদন্তকারীদের দাবি, কোম্পানিটি ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মোট ২৮ হাজার কোটি মূল্যের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বা এফডিআই পেয়েছে। এদিকে একই সময়ে বিদেশে সরাসরি বিনিয়োগের নামে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এদিকে বিদেশে বিজ্ঞাপনের নামে সংস্থাটি নাকি ৯৪৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে দেশের বাইরে। তবে কোম্পানিটি ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে তাদের আর্থিক বিবৃতি প্রস্তুত করেনি এবং হিসেবের অডিট হয়নি। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল।

তদন্তকারী অফিসারদের তরফে জানানো হয়েছিল, বাইজু ‘ফরেন এক্সচঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে’র অধীনে তদন্তের স্বার্থেই এই তল্লাশি অভিযান। এই আবহে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডিজিটাল ডেটা হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেই সব নথি এবং ডিজিটাল ডেটা ইডির তরফে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তীতে সেই সব খতিয়ে দেখে ফের বাইজু রবীন্দ্রনকে তলব করা হতে পারে।

এবার সংস্থার হিসাব পরীক্ষা করে দেখবে সরকার।