TCS hiring delay-কেন অনেককে চাকরি দিয়েও এখনও জয়েন করায়নি টিসিএস

একাধিক সূত্র মানিকন্ট্রোলকে জানিয়েছে, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) বিভিন্ন প্রজেক্ট শুরুর ক্ষেত্রে সমস্যার কারণে তিন মাসের জন্য পার্শ্বীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখছে। কেবল টিসিএস নয়, দেশজুড়েই একই পরিস্থিতি কোম্পানিগুলির। আজকের সময়ে যখন ভারতীয় আইটি সেক্টর ইতিমধ্যেই সার্বিকভাবে Macroeconomic Headwinds দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে এবং তাদের ক্লায়েন্টরা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাজেট কমিয়ে দেওয়ার কারণে প্রকল্প স্থগিত এবং অনেক ক্ষেত্রে বাতিলও হয়ে যাচ্ছে। macroeconomic headwinds হল বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে বাধাদানকারী পরিস্থিতি। বেঙ্গালুরু, পুনে, কোচি, ভুবনেশ্বর, দিল্লি এনসিআর এবং ইন্দোর সহ শিল্প-প্রযুক্তি নির্ভর শহরগুলিতে ২০০ টিরও বেশি কোম্পানির নিয়োগ প্রজেক্টগুলি পিছিয়ে যাওয়ার কারণে প্রভাবিত হয়েছে৷

যোগদানকারীদের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং প্রাথমিকভাবে এক মাসের জন্য নিয়োগ ক্ষেত্রে বিলম্বের সম্মুখীন হতে হয়। তাদের অনেকেই পরবর্তীতে দুই থেকে তিনটি নতুন যোগদানের সময় পেয়েছেন। আবার বহুক্ষেত্রেই অনেক ব্যক্তি মেল পেয়েছেন তাদের নিয়োগ অক্টোবরের আগে সম্ভব নয়। মানিকন্ট্রোল একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জেনেছে, বহু কর্মপ্রার্থীর ক্ষেত্রেই নিয়োগের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার পরে কাজ শুরুর দিন পিছিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলি।   

এই অর্থনৈতিক সংকটের ফলে প্রভাবিত কর্মচারীদের মধ্যে ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক ব্যক্তি জানান, তাকে একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, তিনি বলেছেন যে কোম্পানি বারবার তাঁর নোটিশ পিরিয়ড চলাকালীন তাঁর সাথে যোগাযোগ করছিল,কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি কোম্পানি।  

‘যখন আমি সেই কোম্পানিটি নিয়মিত ফলো করা শুরু করি, তখন জানতে পারি যে আমার নিয়োগের তারিখ পিছিয়ে গেছে। আমি যখন তাদের জিজ্ঞাসা করলাম কী কারণে আমার নিয়োগ পিছিয়ে গেছে, তারা বলে ম্যানিজমেন্ট জানিয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে করা হবে। কিন্তু তারা এখনও কোনও তারিখ নিশ্চিত করছে না।’ জানান ওই ব্যক্তি।

আপাতত কর্মহীন ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি এখন কর্মহীন এবং আমি আবার নতুন করে কাজ খুঁজছি। বর্তমান বাজারে আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সেই স্তরের চাকরি পাওয়াও খুব কঠিন। বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য একটি পরিবার আছে, আমি ঋণ জর্জরিতও। খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে আছি আমি।’ অর্থাৎ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের অধিকাংশ কোম্পানিই অর্থনৈতিক সংকটের কারণে নিয়োগ স্থগিত রেখেছে, ফলে বিপদে পড়ছেন কর্মীরা।