মণীশা গোস্বামী কে? গুজরাটে বিজেপি নেতা হত্যাকাণ্ড, জেল থেকে মধুচক্রের ফাঁদ সমেত রয়েছে বহু অভিযোগ, ফের কেন উঠছে এই নাম!

গুজরাট জুড়ে এই মুহূর্তে খবরের শিরোনাম কাড়ছেন মণীশা গোস্বামী। ভুজের জেলের মধ্যে বসেই যার বিরুদ্ধে মধুচক্র চালিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। সদ্য সেখানে কচ্ছের এক ব্যবসায়ী দিলীপ আহিরের মৃত্যু ঘিরে খবরের শিরোনামে মণীশা। যে বহু বছর আগে এক বিজেপি বিধায়ক খুনেও অভিযুক্ত ছিল। কীভাবে বিজেপি বিধায়ক জয়ন্তী ভানুশালীর খুন হয়? কীভাবে গুজরাটে কচ্ছের নানা দাবড়া গ্রামের মণীশা, গুজরাটের কচ্ছের গাজ্জুগিরি গোস্বামীকে বিয়ে করে সাফল্যের সিঁড়ি দ্রুততার সঙ্গে চড়তে চেয়েছিল, দেখে নেওয়া যাক, সেই ঘটনাক্রম।

গাজ্জুগিরি গোস্বামীকে বিয়ের পর বিজেপির বিধায়ক জয়ন্তী ভানুশালীর ঘনিষ্ঠ হতে থাকে মণীশা। এমনই দাবি স্থানীয় এক সাংবাদিকের। ‘ধীরে ধীরে বহু বিজেপির স্থানীয় সভাতে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় মণীশাকে’, বলছেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে জয়ন্তী ভানুশালীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে চিড় ধরে এক জমি ঘিরে। ভানুশালীর আত্মীয় অভিযোগ করে, তাকে মাদক খাইয়ে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি তুলে ওই জমি দখলের জন্য ব্ল্যাকমেল করছে মণীশা। মণীশা অভিযোগের জেরে গ্রেফতার হয়। নস্যাৎ করে সব অভিযোগ। সেই সময় সাবরমতি জেলে থাকাকালীন ভানুশালীর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিব্বাল প্যাটেলের সঙ্গে আলাপ হয় মণীশার। ততদিনে ভানুশালী মণীশার বিরুদ্ধে কোর্টে বহু ধরনের অভিযোগ এনেছেন। ভানুশালীর বিরুদ্ধে এক ২১ বছর বয়সী মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ আসতেই, পুলিশ জানতে পারে সেই মহলার সঙ্গে মণীশার যোগ রয়েছে। এদিকে, বহু ঘটনাক্রমে জেরে বাইরে আসে তখন মণীশা। ২০১৯ সালে এক ট্রেনের মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা খুন করে ভানুশালীকে। তাদের সঙ্গে যোগ পাওয়া যায় মণীশার। পুলিশি সূত্র দাবি করে, এই খুনের সঙ্গে ভানুশালীর চির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিব্বাল প্যাটেলের পরোক্ষে যোগ রয়েছে। জল্পনা ওঠে, ওই হত্যা কি রাজনৈতিক হত্যা?

এরপর ভানুশালী হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া মণীশা ২০২২ সালে ভুজ জেলে স্থানান্তরিত হয়। এবার আসা যাক ২০২৩ সালে জুনের ঘটনায়। সদ্য ২২ বছর বয়সী এক মহিলা দাবি করেন, তাঁকে ধর্ষণ করেছেন জনৈক ব্যবসায়ী দিলীপ আহির। এই অভিযোগের পরই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্যদিকে, পরের দিন সকালে ৩২ বছর বয়সী আহিরের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। জানা যায়, এই জেলের ভিতর বসেই মধুচক্রের কারবার চালিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাঁসানোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল অভিযুক্ত মণীশা। এখনও সেরকমই অভিযোগ রয়েছে। যা নস্যাৎ করেছে মণীশা। দিলীপ আহিরের থেকে ৪ কোটি টাকা কেড়ে নিতে এই গোটা ফাঁদ বলে জানা যায়। মামলায় মণীশার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। ঘটনাকে ঠান্ডা মাথার খুন বলে তকমা দেওয়া হয়েছে।