Houston boy missing: ৮ বছর ধরে ‘নিখোঁজ’, অথচ বাড়িতেই ছিল কিশোর! রহস্যময় আচরণে তোলপাড় আমেরিকা

১৭ বছর বয়সেই হারিয়ে গিয়েছিল কিশোর ছেলেটি। ২০১৫ সালের ৭ মার্চ বাড়ি থেকে না বলেই বেরিয়ে যায় আমেরিকার হউস্টনের ওই কিশোরটি। তার পর থেকে টানা আট বছর নিখোঁজ ছিল সেই কিশোর। পুলিশের তরফে এই গোটা সময়টা নানাভাবে খোঁজ খবর চলেছে। কিন্তু লাভ হয়নি। আথচ আট বছর পর যখন খোঁজ মিলল, দেখা গেল মোটেই হারিয়ে যাননি ওই ১৭ বছরের কিশোর। বরং বাড়িতেই বহাল তবিয়তে আত্মগোপন করেছিলেন বর্তমানের ২৫ বছরের তরুণ। আট বছর আগে যখন ছেলে হারিয়ে যায় পুলিশের অআছে রীতিমতো কান্নাকাটি করে ভেঙে পড়েছিলেন রুডি ফ্লারিয়াসের মা জেনি ফ্লারিয়াস। কিন্তু মায়ের সঙ্গেই এতদিন দিব্যি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন রুডি‌‌। একদিনের জন্যও ঘুণাক্ষরে সে কথা টের পাননি পাড়ার প্রতিবেশীও। 

আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠেই জল তেষ্টা পায়? সাবধান, এটা হয়তো একটি অসুখের লক্ষণ

আরও পড়ুন: মোটা অঙ্কের মাইনে ছেড়ে ব্রহ্মচারী হন ২৯ বছর বয়সে! কে এই অমোঘ লীলা দাস

তাহলে কি সত্যিই হারিয়ে যাননি রুডি ফ্লারিয়াস? নাহ, তা নয়। ৭ মার্চ সত্যিই হারিয়ে গিয়েছিলেন ১৭ বছরের কিশোর রুডি। কিন্তু ‌তার পর দিন অর্থাৎ ৮ মার্চই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এক চার্চে তাঁকে দেখা যায়। সেখান থেকেই এক সহৃদয় ব্যক্তি বাড়ি ফিরিয়ে দেন তাঁকে। কিন্তু সেই দিন থেকে গত আট বছর ধরে সে কথা আর পুলিশকে জানাননি জেনি ফ্লারিয়াস‌। বরং পুলিশকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে  বারবার বিভ্রান্ত করেছেন মা ও ছেলে দুজনেই। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ওই নিখোঁজ ঘটনার পরেই নিয়মিত রাস্তায় বেরোতেন দুজনেই। অন্যদিকে পুলিশের তরফেও নিখোঁজ তরুণকে খোঁজার চেষ্টা জারি ছিল। রাস্তায় উঠতি কিশোরকে দেখে নিখোঁজ কিশোরের সঙ্গে মিল পেলে পুলিশরা জিজ্ঞাসাবাদও করতেন‌। কিন্তু প্রতিবার ভুল জন্মতারিখ জানিয়ে পার পেয়ে যান রুডি। এমনকী তাঁর মাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও ভুল তথ্য দেন।

সম্প্রতি আমেরিকার এই ঘটনা রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে সারা বিশ্বেই। আমেরিকার প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমে গোটা সপ্তাহ জুড়ে এই খবর শিরোনামে ছিল। ঠিক কোন মানসিকতা থেকে এই কাজ করেছেন ওই মহিলা ও তাঁর ছেলে, তা এখনও জানা যায়নি। দীর্ঘ আট বছরে অনেকেই জেনি ফ্লারিয়াসের বাড়িতে গিয়েছিলেন দেখা সাক্ষাৎ করতে। কিন্তু তাদের প্রত্যেককেই মিথ্যে বলেছেন‌ ওই মহিলা। বাড়িতে কিশোরটিকে দেখে অতিথিরা সন্দেহ করলে তিনি জানিয়েছেন, ও তাঁর নিজের ছেলে নয়। তবে ওই মহিলার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনতে পারে পুলিশ। দীর্ঘ দিন ধরে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার কারণে সাজাও হতে পারে তাঁর।