Tragic incident for wearing Bindi: স্কুলে টিপ পরায় সেন্ট জেভিয়ার্সের শিক্ষকের চড়, অপমানে আত্মহত্যা দশম শ্রেণির ছাত্রীর

স্কুলে টিপ পরে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী। এর জেরে তাকে চড় মেরেছিল স্কুলের এক শিক্ষক। এই অপমানে আত্মঘাতী হল সেই যুবতী। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। মৃত ছাত্রীর বয়স ১৭ বছর। সে তেতুলমারির সেন্ট জেভিয়ার্সের পড়ুয়া ছিল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সেই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তবে কিছুক্ষণ পরই সেই পড়ুয়া ফিরে আসে বাড়িতে। পরে আত্মঘাতী হয় সেই পড়ুয়া।

পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের অধ্যক্ষ এবং যে শিক্ষক চড় মেড়েছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশকে মৃত যুবতীর পরিবার জানায়, টির পরার জন্য স্কুলে চড় খেয়ে ‘মুষড়ে পড়েছিল’ সে। জানা গিয়েছে, সকালের প্রার্থনার সময়, সবার সামনে চড় মারা হয়েছিল সেই যুবতীকে। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে নিজের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নিজের ইউনিফর্মের পকেটে একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছে যুবতী।

তেতুলমারি থানার ইনচার্জ আশিস যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মেয়েটি একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছে। তাতে সেই ছাত্রী এই ঘটনার জন্য স্কুলের শিক্ষককে দায়ী করেছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা শিক্ষক ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছি এবং তাদের দুজনকেই গ্রেফতার করেছি।’

জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর সুইসাইড নোটে অভিযোগ করা হয়েছে, স্কুলে সবার সামনে তাকে থাপ্পড় মারা হয়েছিল এবং স্কুল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। সেই পড়ুয়া লেখেন, তিনি এই অপমান সহ্য করতে পারছিলেন না এবং সে কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি শিক্ষক এবং স্কুলের অধ্যক্ষকেই ‘তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী’ করেন। সেই নোটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়ে যান তিনি।

মৃত যুবতীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে একটি টিপ পরেছিল। কিন্তু শিক্ষককে দেখে সে তা ফেলে দেয়। তাও সবার সামনে তাকে দুবার থাপ্পড় মারে সেই শিক্ষক। এরপর আমার মেয়ে প্রিন্সিপালের কাছে যায়। কিন্তু তিনিও তার কোনও কথা শোনেননি। তাকে চলে যেতে বলা হয়। এরপর মেয়ে আমার কাছে আসে। আমি স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালকে অনুরোধ করেছিলাম। আমি এও বলি যে সেই শিক্ষকের কাছে আমি ক্ষমা চাইব। কিন্তু, আমাদের অনুরোধে কর্ণপাত করা হয়নি। আমি আমার মেয়েকে সান্ত্বনা দিলাম। বাড়িতে এসে দেখলাম সে একটি কাগজে কিছু লিখতে শুরু করল। আমি ভাবি পড়াশোনা করছে। এর আধ ঘণ্টার মধ্যে সে চলে গেল। আমার স্বামী নেই। আমার অন্য দুই ছেলেও এই স্কুলেই পড়েছিল। আর কয়েক মাসে আমার মেয়েরও এই স্কুল থেকে পাশ করে বেরোনের কথা ছিল।’