Bishnupur tax: বাসে করে বিষ্ণুপুর বেড়াতে যাবেন? শহরে প্রবেশ করলেই দিতে হবে কর

ভাবছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ঘুরতে যাবেন? শীতের দিনে তো উপচে পড়ে ভিড়। এবার কিন্তু আপনাকে বিষ্ণুপুরে প্রবেশ করতে গেলে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে। নয়া নির্দেশিকা জারি করল বিষ্ণুপুর পুরসভা। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা বা তার বাইরে থেকে যদি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে কেউ বাসে করে যান তবে সেই বাসের জন্য় অতিরিক্ত কর নেওয়া হবে। এতদিন কেবলমাত্র পণ্যবাহী গাড়ি থেকে কর নেওয়া হত। তবে এবার যাত্রী বাহী বাস থেকেও কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত। প্রতি বাস পিছু ৫০ টাকা করে কর নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। প্রবেশ কর হিসাবে এটা দিতে হবে। শহরে প্রবেশের মুখে টোল গেট করা থাকবে। সেই টোল গেটের কর্মীরা কর আদায় করবেন। 

এদিকে এই প্রবেশ করকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই প্রবেশ কর আরোপ করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে পুরকর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, আগে এই ধরনের কর ছিল না। তবে বর্তমানে প্রবেশ কর নেওয়া হবে। অন্যান্য শহরেও এই ধরনের কর নেওয়া হয়। 

আসলে বিষ্ণুপুরে মন্দির দেখতে যাওয়ার জন্য় মানুষের ঢল নামে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ এই মন্দির দেখতে যান। ভিন রাজ্য থেকেও প্রচুর পর্যটক বাস ভাড়া করে বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার মন্দির দেখতে যান। শহরের মধ্য়ে বাস প্রবেশ করার জেরে প্রচুর যানজটও হয়। তবে এবার সেই বাসের জন্য তাদের আলাদা করে প্রবেশ কর দিতে হবে। পুরসভার এটাই নয়া নিয়ম। একেবারে টোল গেট করে শহরে প্রবেশের মুখেই নেওয়া হবে এই কর।

বছরের বিভিন্ন সময়তেই বিষ্ণুপুরের প্রাচীন মন্দির দেখার জন্য় ভিড় হয়। বাঁকুড়া জেলার এই মন্দির শহর। আদি মল্ল, মল্ল রাজবংশের প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির।  পোড়ামাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি এই অপূর্ব মন্দির। পৌরাণিক নানা কাহিনি এই মন্দিরের গাত্রে রয়েছে। এখানকার রসমঞ্চ দেখার জন্য পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। অপূর্ব স্থাপত্যকীর্তি এটি। মৃণ্ময়ী মন্দিরও এখানকার অপর একটি দ্রষ্টব্য স্থান।এছাড়াও জোড়বাংলা মন্দির,শ্যামরায় মন্দির, মদন মোহন মন্দির সহ বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তি দেখার জন্য রোজই ভিড় বাড়ে। শীতকালে তো বাসে করে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে আসেন।  তবে শুধু মন্দির নয়, এখানকার বালুচরি শাড়ির প্রতিও পর্যটকদের আলাদা আকর্ষণ থাকে।