IAMAI on Onilne gaming GST: অনলাইন গেমিংয়ে জিএসটি কমানোর আর্জি, কেন্দ্রকে কী বললেন অ্যাপ কর্তারা

গেমিংয়ে ২৮ শতাংশ জিএসটি ভারতের অর্থনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করল ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। ভারতের প্রধান প্রযুক্তি সংস্থাদের নিয়ে তৈরি এই অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ১২ জুলাই এমনটাই জানানো হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের ২৮ শতাংশ করের সিদ্ধান্ত তাদের কাছে রীতিমতো উদ্বেগের বলেই জানিয়েছে আইএএমএআই। প্রসঙ্গত, জিএসটি কাউন্সিল নগদ অর্থ ব্যবহার করে খেলতে হয় এমন গেমের ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ জিএসটি কর ধার্য করেছে। কাউন্সিলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে আইএএমএআই। তাদের তরফে এই দিন বলা হয় এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। এমনকী অনলাইন গেম শিল্পেরও দারুণ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

আরও পড়ুন: Life Hacks: বর্ষাতেও ঝটপট শুকোবে কাপড়, মনে রাখুন ৫ টিপস

আরও পড়ুন: মগজের দৌড়ে মানুষকেও হার মানায় মৌমাছি! ভবিষ্যৎ নিয়ে মজার কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা

সম্প্রতি আইএএমএআই-এর শীর্ষস্থানীয় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে কিছু রদবদল আনা হয়। অনলাইন গেমিং সংস্থা ড্রিম স্পোর্টসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হর্ষ জৈনকে চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। অন্যদিকে মেকমাইট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রাজেশ মাগোকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। তার পরেই আইএএমএআই-এর তরফে জিএসটি কাউন্সিল নিয়ে এমন বিবৃতি প্রকাশ্যে এল। প্রসঙ্গত, আইএএমএআই-তে ভারতীয় ও বহুজাতিক মিলিয়ে ৫০০-এরও বেশি সংস্থা রয়েছে। এর প্রধান গেমিং সদস্য সংস্থাদের মধ্যে ড্রিম স্পোর্টস, মোবাইল প্রিমিয়ার লিগ, গেমসক্র্যাফট, নাজারা টেকনোলজিস ও গেম ২৪x৭ প্রথম সারিতে রয়েছে। বর্তমানে এই সব সংস্থাকেই জিএসটি কাউন্সিলের পুরনো নিয়ম অনুযায়ী ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। সেই করই বেড়ে ২৮ শতাংশ করা হবে। ১১ জুলাই জিএসটি কাউন্সিলের ঘোষণাতে বলা হয়েছে, যে টাকা গেম খেলোয়াড় অ্যাপকে দেন, তার উপরেই বসবে ২৮ শতাংশ। গেমে খেলোয়াড় জিতল কি জিতল না তা দেখা হবে না। ভাগ্যের খেলাই হোক বা পরিশ্রমের খেলা, সবরকম গেমেই একই কর ধার্য করা হবে।

এই প্রসঙ্গেই বিবৃতিতে একটি কথা যোগ করেছে আইএএমএআই। তাদের তরফে বলা হয়েছে, অনলাইন গেমিং বেটিং ও জুয়া খেলার থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই জুয়া খেলার মতো এত কর বসানো নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। এতে ২০০০ কোটির বিশাল শিল্পক্ষেত্র রীতিমতো মার খাবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষস্থানীয়রা। পাশাপাশি তাদের মতে, এই হারে জিএসটি সারা বিশ্বের আদর্শ কর ব্যবস্থার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।