GST on Online Gaming Explained: অনলাইন গেমিংয়ে চড়া হারে GST বসায় কী প্রভাব পড়বে খেলোয়াড়দের ওপর? বুঝুন অঙ্কটা

সদ্যই অনলাইন গেমিংয়ের ওপর ২৮ শতাংশ জিএসটি বসানোর ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরামন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ‘প্রাইজমানি’র পরিমাণ কমতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই আবহে বিশ্লেষণমূলক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, পুরো এন্ট্রি ফি-র ওপর ট্যাক্স বসায় সংস্থাগুলির প্ল্যাটফর্ম ফি বাবদ আয়ে সেই অর্থে প্রভাব পড়বে না। তবে এর জেরে ছোট প্রাইজ পুলের আকার ছোট হবে। এর জেরে ধীরে ধীরে খেলোয়াড়ের সংখ্যাও কমতে পারে। কারণ, প্রাইলজ পুল ছোট হলে খেলোয়াড়রা দ্রুত টাকা হারাবে। আর এর জেরে খেলার আগ্রহ হারাবেন অনেকে।

ধরে নিন, একটি অনলাইন গেমে দু’জন ১০০ টাকা করে দিয়ে খেলছেন। এর আগে ১০০ টাকা ফি-এর থেকে ১০ শতাংশ কেটে রাখত সংস্থা। এর জেরে মোট প্রাইজ পুল হত ১৮০ টাকা। এর ফলে টিডিএস কাটার পর বিজয়ী খেলোয়াড়ের মোট আয় হত ৫৫ টাকা। এদিকে জিএসটি বৃদ্ধির জেরে এবার প্রাইজ পুল কমে হবে ১২৯.৬ টাকা। আর এর জেরে টিডিএস কাটার পর বিজয়ী খেলোয়াড়ের প্রাপ্তি হচ্ছে মাত্র ২০.৪ টাকা।

এদিকে পোকারের মতো গেমে ৪ থেকে ৮ জন খেলেন একসঙ্গে। এই আবহে মোট এন্ট্রি ফি-এর ৬০ শতাংশ টাকা প্রাইজ মানি হিসেবে দেওয়া হয়। ড্রিম১১, মাই১১সার্কেলের মতো ফ্যান্টাসি গেমেও এই হার ৭০ থেকে ৭২ শতাংশ। এই আবহে ‘প্লেয়ারজপট’ নামক একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মীতেশ গঙ্গার বলেন, ‘করের বোঝা গেমিং ইন্ডাস্ট্রিকে নষ্ট করে দেবে। এখানের খেলোয়াড়রা করের চাপে কম আয় করবে। তখন বেআইনি বিদেশি বেটিং প্ল্যাটফর্মের দ্বারস্থ হবে তারা।’

উল্লেখ্য, অনলাইন গেমিংয়ের বিরুদ্ধে বহু রাজ্যের আপত্তি রয়েছে। অনেকেরই অভিযোগ, শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে তরুণরা অনলাইন গেমে আকৃষ্ট হয়ে অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছে। অনেকেই এই গেম খেলার জন্য ঋণ পর্যন্ত নেয়। সেই টাকা ফেরাতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে শ’য়ে শ’য়ে তরুণ। এই আবহে অনলাইন গেমের ওপর কোনও জিএসটি পর্যন্ত ছিল না। নৈতিক দিক থেকে প্রশ্ন ওঠে, এই অনলাইন জুয়া শিল্পকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের থেকেই গ্রহণযোগ্য করে তুলছে সরকার। এই আবহে দীর্ঘ তিন বছরের আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত কর বসেছে। যদিও অর্থমন্ত্রীর দাবি, কোনও শিল্পকে নিশানা করতে এই কর বসানো হয়নি। বরং ব্যবসা হচ্ছে, তাতে লাভও হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই জিএসটি বসানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে অনলাইন গেমিংয়ের সংস্থাগুলির আয় বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। এদিকে ২০২২ সালে এই অনলাইন গেমিং ব্যবসায় সংস্থাগুলির মোট আয়ের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।