Saayoni Ghosh on ED: ‘২১শের জয়ের দুদিন পরে মন্ত্রীদের গ্রেফতার করেছিল…রাখে হরি মারে কে!’ বড় ইঙ্গিত সায়নীর

সায়নী ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য যুব নেত্রী। পঞ্চায়েতের ফলাফল মিটতেই গোটা বাংলার প্রশ্ন কবে ইডির ডাকে আবার সাড়া দেবেন সায়নী ঘোষ? পঞ্চায়েতের ফলাফলে বাংলা জুড়ে সবুজ সুনামি। কিন্তু তারপরেও বাংলার রান্নাঘর থেকে পাড়ার ঠেক সর্বত্র আলোচনা আর কি ইডি সায়নীকে ডাকবে? আর ডাকলে কি সায়নী তাতে সাড়া দেবেন? নাকি ইডির ডাকে সাড়া দিতে বয়েই গেছে? 

তবে এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন খোদ সায়নী। আসলে টিপু সুলতান মসজিদের সামনে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের সংযোগস্থলে ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। সেই দিনটাকে শ্রদ্ধা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্চায়েত হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের জন্য়ই এই শ্রদ্ধা দিবস। সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন সায়নী। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী বলেন,  কথায় আছে মারে হরি তো রাখে কে, আর রাখে হরি তো মারে কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নমূলক কাজ গোটা রাজ্যের জন্য করে চলেছেন তাতে আমার মনে হয় না কোনওরকম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হোক, বা কেন্দ্রীয় জওয়ানরা হোক যারাই হোক না  কেন আটকাতে পারবে…।

বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, আমি তো ভাবছি ওদের এখানে বাড়ি বানিয়ে দেব। যারা উত্তরপ্রদেশ, মণিপুরে যেতে পারেন না, যেখানে নিজের সরকার রয়েছে সেখানে ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিংয়ে যেতে পারেন না,  অথচ জয় হজম হচ্ছে না, কীভাবে বিব্রত করা যায়। ২০২১ সালে বিপুল ভোটে জেতার পরে দেখেছেন তার দুদিনের মধ্যে আমাদের মন্ত্রীদের অ্য়ারেস্ট করেছিল। কাজেই এখানে ধর্না দেওয়া, সরকারের কর্মকাণ্ডকে বানচাল করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রতি ভোটে মানুষ বুঝিয়ে দিচ্ছে তাদের আশা ভরসা হলেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কথা দেন না শুধু, কথা রাখেন। …বাংলার মানুষের মন জয় করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেটাই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েতে।
সায়নী বলেন, তলব করতেই পারেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদেরও তো প্রেসার থাকে। তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। আবার ডাকলে আবার যাব। সেটা বিষয় নয়। তবে এরকমভাবে তৃণমূলকে আটকানো যায়নি। আটকানো যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নবজোয়ারকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল । সেটা ধোপে টেকেনি। শেষ কথা বলবেন মানুষ।