অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় সিবিআই, তিহাড়ে গিয়ে কী জিজ্ঞাসা করবেন?‌

পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের সাফল্য শুনেছেন তিনি। তাতে তিনি বেজায় খুশিও। তবে দুঃখ বলতে এখনও তিনি জামিন পাননি। তিহাড় জেলের কুঠুরিতে দিন–রাত কাটছে খুব কষ্টে। বারবার জামিনের আবেদন করলেও প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রভাবশালী তকমা দিয়েছে সিবিআই–ইডি। তাতে তিনি জেল থেকে বেরতে পারছেন না। তার উপর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার জেরে মামলা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই আবহে এবার তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চান সিবিআই অফিসাররা বলে সূত্রের খবর।

এদিকে গরু পাচার কাণ্ডের কালো টাকাতেই বহু সম্পত্তি কিনেছেন অনুব্রত মণ্ডল বলে দাবি সিবিআইয়ের। এখন আরও বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তাই সেই বিষয়গুলি নিয়ে জেরা করতে চান তাঁরা। তারিখ এখনও চূড়ান্ত না হলেও তিহাড় জেলে গিয়ে তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই চালকল, পেট্রোল পাম্প, প্রচুর বাস্তুজমির হদিশ পেয়েছেন তাঁরা। এবার হদিশ পেলেন বহুমূল্যের বাস্তু জমির রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে নগদ টাকায়। এই টাকা কোথা থেকে এল?‌ অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে এত সম্পত্তি হল কী করে?‌ নেপথ্যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নেই তো?‌ উত্তর জানতে চায় সিবিআই।

অন্যদিকে গতকাল গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি ছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে। কিন্তু প্রযুক্তির সমস্যায় তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সুতরাং বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জামিনের আবেদন করতে পারেননি। তাঁর আইনজীবীরা নানা চেষ্টা করেও পরে হাল ছাড়েন। এবার অনুব্রত মণ্ডলের আরও কালো টাকার হদিশ পেয়েছেন সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই তথ্য দিয়ে আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প আছে অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে। এমনকী একটি নির্মাণ সংস্থাতে প্রচুর নগদ টাকা জমা পড়েছে। সেই কোম্পানির মালিক অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের শ্যালক।

আরও পড়ুন:‌ পায়ে চোট নিয়েই বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সফরসঙ্গী হচ্ছেন অভিষেক

সিবিআই ঠিক কী চাইছে?‌ সিবিআই অফিসাররা চাইছেন এখন যে তথ্য এবং নথি হাতে এসেছে সেগুলিকে সামনে রেখে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে। তারপর সেই জেরা পর্বের তথ্য আদালতে তাঁরা পেশ করবেন। নতুন একটি চালকল, নগদ লেনদেন, কালো টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তাছাড়া বেশ কিছু জমির সন্ধান মিলেছে। আর সব জমির মূল্য ৫০ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তাই নয়, ওই জমিগুলির রেজিস্ট্রি নগদ টাকায় করা হয়েছে। তাই সিবিআই এগুলি নিয়ে জেরা করতে চায় অনুব্রত মণ্ডলকে।