তৃণমূল পালন করবে শহিদ দিবস, সরকারি হাসপাতালে টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ রাজ্যের!

আগামী ২১ জুলাই শহিদ দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেজন্য ধর্মতলায় তৃণমূলের তরফে সভা করা হবে। তবে শহিদ দিবসে সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল টিম এবং রক্ত মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কীভাবে সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হল? তাই নিয়ে বিতর্ক তৈরি তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠনগুলি এই নির্দেশিকার তীব্র সমালোচনা করেছে। অবিলম্বে তারা এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এই নির্দেশিকাকে বেআইনি বলে দাবি করেছে কর্মরত চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম।

আরও পড়ুন:  শহিদ সমাবেশ, সরকারি হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শহিদ দিবসের কর্মসূচির জন্য জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এবং গ্রাম সড়কের পাশে যে সমস্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে তিনদিনের জন্য মেডিক্যাল টিএম প্রস্তুত রাখতে হবে। তাছাড়া রক্ত মজুত রাখতে হবে। এছাড়া সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এই ব্যবস্থা করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে ২১ জুলাইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা: সজল বিশ্বাস বলেন, ‘শাসক রাজনৈতিক দলের সভাকে কেন্দ্র করে রাজ‍্য জুড়ে সর্বত্র সরকারি স্বাস্থ্য দফতর থেকে তিনদিন ধরে মেডিক্যাল টিম নিয়োগের জন‍্য নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এই নির্দেশ প্রত‍্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’ 

তিনি জানান, রাজ‍্যজুড়ে স্বাস্থ্য ব‍্যবস্থা, পরিকাঠামো এবং ডাক্তার, নার্স স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে পরিষেবা ভেঙে পড়ার মুখে ব্লাড ব‍্যাঙ্কগুলি রক্ত শূন্যতায় ভুগছে। রক্তের অভাবে বহু অপারেশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেরকম একটি সময় সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি সামাল দিতে গোটা রাজ‍্যজুড়ে রক্ত মজুত রাখার পাশাপাশি তিনদিন ধরে মেডিক্যাল টিম দেওয়ার জন‍্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এককথায় তা বেআইনি। তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থকে ভীষণভাবে বিঘ্নিত করে এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়ার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জনস্বার্থে স্বাস্থ্য দফতরের নিরপেক্ষতা এবং ভাবমূর্তি বজায় রাখার স্বার্থে অবিলম্বে এই নির্দেশিকা বাতিল করার দাবি  আমরা জানাচ্ছি।’

বাম চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, যেখানে শিশু সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে বাবাকে বাড়ি নিয়ে যেতে হচ্ছে। চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ মেলে না,  রোগীদের রেফার করাই রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য এই রকম নির্দেশিকা মানবিকতার বিরোধী।