মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ ৪ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন চার যুবক। লাশের পাশে রাখতে আগরবাতি জ্বালানোর সময় গ্যাস লাইনের লিকেজে আগুন লেগে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন তারা৷ তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। 

শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার বিশ্বরোড এলাকার ইয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন। 

দগ্ধরা হলেন মো. জুম্মান (৩০), মো. মিরাজ (২৫), মো. কবির (৩৫) এবং মো. সেমিন (২৪)৷ তাদের বাড়ি তারাবোর খালপাড় এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. আতাউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শনিবার বিকালে বিশ্বরোড এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ইয়াজ উদ্দিন মারা গেছেন। রাতে জানাজার উদ্দেশ্যে লাশের গোসল দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় লাশের পাশে রাখার জন্য আগরবাতি ধরাতে লাইটার জ্বালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়৷ এতে জুম্মন, কবির, সিয়াম ও সেমিন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

রূপগঞ্জ থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, লাশ গোসল করানোর জায়গার আশপাশ দিয়ে তিতাস গ্যাসের লাইন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দগ্ধ হওয়া চার জন মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিতে এসেছিলেন। 

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, জুম্মনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে৷ তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে৷ বাকিদের ৪ থেকে ৫ শতাংশ পুড়েছে৷ চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাদের৷

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, দগ্ধদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, আগরবাতি জ্বালানোর পর পাশে থাকা গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়৷ এতে চার জন দগ্ধ হন। তারা লাশের গোসল দিতে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। বাকি তিন জন কিছুটা দগ্ধ হয়েছেন।