Mamata Banerjee: বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের নৈশভোজে অংশ নেবেন না মমতা, দাবি রিপোর্টের

বিরোধী ঐক্যে শান দিতে জুন মাসে পটনায় একত্রিত হয়েছিল ১৭টি বিরোধী দল। আগামী ১৮ জুলাই, মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ফের মিলিত হবে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। এবারের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ছে। জানা গিয়েছে, মোট ২৪টি দল বেঙ্গালুরুর বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে পারে। এই আবহে বিরোধীদের মধ্যে সখ্যতা বাড়াতে ১৭ জুলাই একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে বেঙ্গালুরুতেই। সেই নৈশভোজে আমন্ত্রিত লালু, নীতীশ, হেমন্ত সোরেন, উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তবে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই নৈশভোজে খুব সম্ভবত যোগ দেবেন না মমতা। তবে ১৮ তারিখের বৈঠকে তিনি অংশ নেবেন। তাঁর সঙ্গে সেই বৈঠকে হাজির থাকার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তবে পায়ের অস্ত্রোপচারর কারণেই ১৭ তারিখের নৈশভোজে অংশ নিতে পারবেন না মমতা।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে হেলিকপ্টার বিভ্রাটে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন মমতা। এর জেরে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয় এসএসকেএস হাসপাতালে। তারপর থেকে তিনি প্রায় দুই সপ্তাহ বাড়িতেই ছিলেন। সেখান থেকেই সরকারের কাজ সামলেছেন। পঞ্চায়েতে দলের হয়ে অনলাইনে প্রচার করেছেন। এরই মধ্যে চিকিৎসকরা মমতাকে বিমানে চড়ে বেঙ্গালুরু যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে যথা সম্ভব বিশ্রামে থাকার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। এই আবহে ১৭ জুলাইয়ের নৈশভোজে সম্ভবত থাকবেন না মমতা। তবে মমতার বদলে তাঁর প্রতিনিধি হয়ে সেই নৈশভোজে অংশ নিতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামহীন হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছে সব দলেরই কর্মীরা। তবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রক্ত ঝরেছে সবথেকে বেশি। ‘প্রতিরোধ’-এর নামে বহু জায়গায় আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। ঘাসফুল শিবিরের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে বাম-কংগ্রেসের দিকে। এহেন হিংসাত্মক, রক্তাক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এই প্রথম বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা। তাই বেঙ্গালুরুর এই বৈঠকের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

এদিকে ১৮ জুলাইয়ের বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে অংশ নেবেন সোনিয়া গান্ধীও। এর আগে পটনা বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে অংশ নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এদিকে বর্তমানে কংগ্রেস সভাপতি না হলেও সোনিয়া এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন। তাই তাঁর এই বৈঠকে অংশগ্রহণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাছাড়া মমতার সঙ্গে সোনিয়ার ব্যক্তিগত রসায়নের বিষয়টি অজানা নয় রাজনৈতিক মহলের। এদিকে পটনার বৈঠকে দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরুর বৈঠকেও আম আদমি পার্টির ডাক পড়েছে। এই বৈঠকে দুই দলের মত পার্থক্য মিটে যায় কি না, সেদিকেও নদর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। এছাড়া, গতবারের বৈঠকের পর চিড় ধরেছে শরদ পাওয়ারের এনসিপি-তে। পটনার বৈঠরে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে এনসিপির হয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেল। তবে এখন তিনি অজিত পাওয়ারের শিবিরে। এই আবহে শরদ পাওয়ারের দিকেও নজর থাকবে ওয়াকিবহল মহলের।