Pakistan’s ‘friendly’ behaviour: কিছুটা ভদ্রতা পাকিস্তানের, লকগেট খুলে রেখে পঞ্জাবকে বাঁচাল ভয়াবহ বন্যার হাত থেকে

ভারতের পঞ্জাবের বিপদের সময় লকগেট বন্ধ করল না পাকিস্তান। তার জেরে পঞ্জাবের মালওয়ায় যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হত, তা থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে বলে রাজ্যের (ভারতের পঞ্জাবের) সেচ দফতরের আধিকারিকরা। সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্জাবের সেচ দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে পাকিস্তান যদি লকগেট (সুতলেজ নদীর উপর সুলেমান লকগেট) বন্ধ রাখত, তাহলে হরিকে থেকে প্রবল জলস্রোত আসছিল, তাতে প্লাবিত হয়ে যেত বিস্তীর্ণ এলাকা। কিন্তু পাকিস্তান লকগেট (সুতলেজ নদীর উপর) বন্ধ না করায় বুধবারই হুসেনওয়ালা থেকে প্রচুর জল (সেদিন হুসেনওয়ালায় ১.৯২ লাখ কিউসেক জল ছিল) প্রতিবেশী দেশে চলে গিয়েছে। যদিও অতীতে একাধিকবার এরকম ক্ষেত্রে লকগেট বন্ধ করে দিত পাকিস্তান। তার জেরে পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যেত। আবার কখনও কখনও পাকিস্তান লকগেট খুলে দেওয়ায় সীমান্ত লাগোয়া পঞ্জাবের গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার নজিরও আছে।

আরও পড়ুন: IND vs PAK: ভারতের মুসলিমরা পাকিস্তানকেই সমর্থন করবে! পাক প্রাক্তনীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক

ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিক এবং দ্বিতীয় সপ্তাহের গোড়ার দিকে সিরসা, সিসওয়ান, সাঙ্গোরাও, বুধকি এবং সোয়ান নদী থেকে প্রচুর পরিমাণে জল মালওয়ায় (সুতলেজ নদীর দক্ষিণে অবস্থিত মালওয়) আসছিল। তার জেরে এমনিতেই মালওয়ার অধিকাংশ জেলায় অবস্থা শোচনীয় ছিল। ফাজিলকার কাছে পাকিস্তান যদি লকগেট বন্ধ রাখত, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠত। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। বিষয়টি নিয়ে ফাজলিকার ডেপুটি কমিশনার সেনু দুগ্গল জানিয়েছেন, পাকিস্তান লকগেট খুলে দেওয়ায় প্রতিবেশী দেশে সেই অতিরিক্ত জল চলে গিয়েছে। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ভারতের পঞ্জাব।

আরও পড়ুন: ‘আমরা আগে সবাই খেলতাম, আবারও খেলব’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বার্তা পাকিস্তানের সহ-অধিনায়কের

আবার পঞ্জাবের নিকাশি ব্যবস্থার চিফ ইঞ্জিনিয়ার এইচএস মেহনদিরাত্তাকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সুতলেজ নদীর উপর পাকিস্তানের লকগেট খুলে রাখা হয়েছে, তাই দক্ষিণ মালওয়ায় বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। বুধবার হরিকেতে ২.১৪ লাখ কিউসেক জল ছিল। যেখান থেকে সুতলেজ নদী পাকিস্তানে ঢুকে যায়। তারপর ফের ভারতে প্রবেশ করে। কিছুটা পথ অতিক্রম করে হুসেনওয়ালার কাছে আবারও পকিস্তানে প্রবেশ করে যায়। হুসেনওয়ালার কাছে বুধবার জলের পরিমাণ ঠেকেছিল ১.৯২ লাখ কিউসেক। তা পাকিস্তানে চলে গিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।