Silent Reading in Kolkata: কলকাতাতেও চালু সাইলেন্ট রিডিং, উদ্যোগ শিলিগুড়িতেও, মাঠে- ময়দানে নীরবে পড়ুন বই

শীতের দুপুর। রোদে পিঠ দিয়ে ছাদে বই পড়ার স্মৃতি মনে আছে? কিংবা বিছানায় উপুড় হয়ে প্রিয় গল্পের বইটা গোগ্রাসে গেলা। আবার পড়ার বইয়ের ভেতর গল্পের বই রেখেও কেউ কেউ পড়তেন। তবে সেসব আজ অতীত। তবে সেই বই পড়ার অভ্যাস ফেরাতে এবার কলকাতায় নয়া উদ্যোগ।

এবার কলকাতাতেও শুরু হল সাইলেন্ট রিডিং। মানে নীরবে বই পড়ুন। চুপ করে বই পড়ুন। বই পড়ার অভ্যাস চলে গেছে অনেকেরই। বই খুললেই মোবাইলে চোখ চলে যায়। আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভ্যেস গুলোই বদলে গেছে। তবে এবার সংগঠিত বই পড়ার অভ্যাসকে ফিরিয়ে আনতে কলকাতাতে শুরু হল সাইলেন্ট রিডিং ফোরাম।

একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে বেঙ্গালুরু কাবন পার্কে প্রথম এই সাইলেন্ট রিডিং এর পথচলা শুরু হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে মুম্বাই, কোচি, দেরাদুন, পুদুচেরিতে এই নীরবে বই পড়ার কাজ শুরু হয়। তবে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, পুরোটাই হবে প্রকৃতির মাঝে। তেমনটা শুরু হয়ে গেল কলকাতাতে। কলকাতার নিউটাউনে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

 

বেঙ্গালুরুর কাবন পার্কে প্রথমেই সাইলেন্ট রিডিং এর ভাবনাটা শুরু হয়। হর্ষ স্নেহাংশ, শ্রুতি শাহ তাঁদের উদ্যোগে বেঙ্গালুরুতে শুরু করেছিলেন এই সাইলেন্ট রিডিং ফোরাম।

এবার তেমনই উদ্যোগ কলকাতাতেও। নিউটাউনের ইকোপার্কে একেবারে নির্জনতায় চলছে সাইলেন্ট রিডিং। শনিবার বিকেলে মোটামুটি চারটা থেকে ছটার মধ্যে এই সাইলেন্ট রিডিং শুরু হয়েছে বলে খবর।

আসলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই লাইব্রেরীগুলোতে পাঠকের সংখ্যা হু হু করে কমছে। মোবাইলে আসক্ত আমজনতা। তবে শুধু মোবাইলের উপর দোষ দিয়ে লাভ নেই। মোবাইলে দীর্ঘ লেখা পড়তে চাইছেন না অনেকেই। সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে অভ্যাস। কিছুতেই মন বসাতে পারছেন না।তাদের জন্য এই সাইরেন্ট রিডিং একেবারে থেরাপির মতো কাজ করবে। এমনটাই মনে করছেন অনেকেই। যারা স্কুলে পড়ছে তারাও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাবা মার হাত ধরে চলে যাচ্ছে এই সাইলেন্ট রিডিংয়ে।

শিলিগুড়িতে এই ধরনের সাইলেন্ট রিডিংএর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টির জন্য মাঝপথে ধাক্কা খাচ্ছে এই কাজ। তবে তবে পড়তে যাওয়ার নাম করে দল বেধে পিকনিকে নামবেন এমনটা কিন্তু নয়। আসরে গিয়ে বন্ধু পাতিয়ে জমিয়ে আড্ডা শুরু করলেন, বা শীতের দুপুরে রোদে পিঠ দিয়েই তাস খেলতে বসে গেলেন, আর বই পড়ে রইল এদিক ওদিক এমনটা নয় কিন্তু। বা শুধু সেলফি তুলতে যাওয়ার জন্য়ই গেলেন আর ফিরে এলেন এমনটাও নয়।এটা হল মজা করে পড়ার আসর। তবে নীরবে। অন্য়কে বিরক্ত না করে।