‘‌আবার রাজনীতি রাজ্যপালের’‌, আনন্দ বোসকে টুইট–বাণে বিদ্ধ করলেন কুণাল ঘোষ

পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। আর রাজ্যপালও নানা জায়গায় ঘুরে বেরিয়ে যে মন্তব্য করছিলেন তা পরোক্ষে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করে। কিন্তু এতকিছুর পরও গ্রামবাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপরই আস্থা রেখেছেন বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহল—সর্বত্র এখন ঘাসফুল ঝড় দেখা দিয়েছে। এবার রাজ্যপালই সরাসরি টুইট–বাণে বিদ্ধ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

সম্প্রতি বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে বাংলারও বহু মানুষজন রয়েছেন। সেইসব পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি পর্যন্ত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস হঠাৎ কয়েকজনকে রাজভবনে ডেকে চেক বিলি করেছেন অভিযোগ কুণাল ঘোষের। আর এই গোটা বিষয়টির মধ্যে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। আর তাই ছবি দিয়ে টুইট করেছেন তিনি। রাজ্যের টাকাই ঘুরিয়ে অন্যদের হাতে দেওয়ার নেপথ্য কারণ কী?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।

এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের বাতাবরণ কায়েম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। তাই তিনি পিস রুম খুলেছিলেন রাজভবনে। তারপর নির্বাচন মিটতেই নয়াদিল্লিতে যান। সেখানে যাওয়ার আগে বলেছেন, মুক্ত বাতাস নিতে যাচ্ছি। সুতরাং বাংলার বাতাস খারাপ তা তিনি পরোক্ষে বুঝিয়েছিলেন। নির্বাচনের দিন এবং ফলাফলের দিন তিনি রাস্তায় নেমে গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল হওয়ার জন্য সচেষ্ট হন। তখন কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে ঠুকে টুইটে লিখেছিলেন, ‘‌মানুষের এই রায় দেখার পর রাজ্যপালের আর পদে থাকা উচিত নয়। অবিলম্বে পদত্যাগ করে বাংলা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ তিনি বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন। অনৈতিক পথে বিরোধীদের উস্কানি দিয়েছেন। বাংলাকে অপমান করেছেন। তাঁর কোনও অধিকার নেই রাজ্যপাল হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার।’‌

আরও পড়ুন:‌ লোকসভা নির্বাচনে কি প্রার্থী হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী?‌ কাঁথিতে দেওয়াল লিখনে গুঞ্জন

আর এবার ঠিক কী লিখলেন?‌ অন্যদিকে এবার এই পৃথকভাবে রাজভবনে ডেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‌আবার রাজনীতি রাজ্যপালের। প্রশ্ন ছিল, বালেশ্বর রেলকাণ্ডে যাননি কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার যান। পরে এখন, হঠাৎ কয়েকজনকে ডেকে চেক দিচ্ছে রাজভবন। ১)‌ রাজ্য সরকার আগেই ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা দিয়েছে। ২)‌ রাজ্যপাল যে টাকা দিচ্ছেন সেটাও রাজ্যের। ৩)‌ বাছাই করে পরিবার ডাকার মানে কী?’‌ এই টুইটের সঙ্গে একটি ছবিও সেঁটে দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।