Global livability index: মানুষের পক্ষে থাকাই মুশকিল! করাচি নিয়ে কেন এমন রিপোর্ট দিল খোদ পাক সংবাদমাধ্যম

মানুষের পক্ষে বাস করাই মুশকিল! এমনটাই জানাল পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ‘ডন’। পাক সংবাদমাধ্যমের একটি সমীক্ষায় পাকিস্তানের করাচি শহরকেই এমনটাই তকমা দেওয়া হল। ‘ডন’ পাকিস্তানের বিখ্যাত ইংরেজি সংবাদপত্র। সম্প্রতি তাদের তরফে একটি বিশেষ সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সমীক্ষাতেই জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের করাচি মানুষের বাসের পক্ষে মোটেই যোগ্য নয়। সমীক্ষার সূচকগুলিতে ন্যুনতম পাশ নম্বরও পায়নি ওই শহর। সারা বিশ্ব থেকে সব মিলিয়ে ১৭৩টি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ওই সমীক্ষার জন্য। তাতেই পিছন দিক থেকে পাঁচ নম্বরে রয়েছে করাচি। ১৬৯ স্থানে থাকা করাচির পরে রয়েছে লাগোস, অ্যালজিয়ার্স, ত্রিপোলি ও দামাস্কাস। 

আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩ রওনা দিল! রইল ভারতীয় মহাকাশবিজ্ঞানের ঐতিহাসিক মুহূর্তের দারুণ সব ছবি

আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের সঙ্গী ‘এলভিএম-৩’কেই কেন বারবার ভরসা করে ইসরো? কী কী বিশেষ গুণ এর

পাক সংবাদপত্র ‘ডন’ পত্রিকার তরফে বিশ্ব বাসযোগ্যতার সূচক বা গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স পরিমাপ করা হয়। গত কয়েক বছর ধরেই সেই তালিকায় পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর করাচি। প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বাদশ বৃহত্তম শহর বিভিন্ন বিষয়েই কম নম্বর পেয়েছে‌। ‘ডন’ সংবাদপত্রের ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এই সূচকটির খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে। তাদের তরফে সাধারণত অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ও পরামর্শ দেওয়া হয়। কোভিডের ত্রাস দূর হওয়ার পর কীভাবে পুরনো ছন্দে ফিরছে বিশ্বের বড় বড় শহর? মূলত এর উত্তরই খুঁজছিল বিশ্ব বাসযোগ্যতার সূচক। উত্তর পেতে একটি শহরের পাঁচটি বিষয় স্থিরতা, স্বাস্ত্য, সংস্কৃতি-পরিবেশ,  শিক্ষা ও পরিকাঠামোর উপর নির্ভর করেছিল ইউনিটটি। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয় এই সূচক। এই পাঁচ ক্ষেত্রে পাওয়া নম্বরের উপরেই নির্ভরশীল সূচকের গড় নম্বর। সূচকে ১০০ সর্বোচ্চ ও ১ সর্বনিম্ন নম্বর।

দেখা গিয়েছে, করাচির মোট নম্বর ৪২.৫। যা আদর্শ নম্বরের থেকে অনেকটাই কম। এই শহরে বাসের স্থিরতা একেবারেই কম। প্রসঙ্গত, স্থিরতায় করাচি ২০ পেয়েছে যা সবচেয়ে কম। অন্যদিকে স্বাস্থ্যে ৫০, সংস্কৃতি-পরিবেশে ৩৮.৭, শিক্ষায় ৭৫ ও পরিকাঠামোয় ৫১.৮ পেয়েছে পাক শহর। প্রসঙ্গত, গত বছরেও শহরবাসের স্থিরতায় ২০ পেয়েছিল করাচি। অর্থাৎ গত এক বছরে অবস্থার কোনও উন্নতিই হয়নি। ২০১৯ সালে এই সমীক্ষায় ১৪০টি শহরের মধ্যে ১৩৬ নম্বরে ছিল পাক শহর। ২০২০ সালে কোভিডের জন্য সমীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এর পর ২০২২ সালে ১৪০টি শহরের মধ্যে ১৩৪ নম্বরে ছিল করাচি।