Rocket Attack on Pak Hindu Temple: বুলডোজারের পর রকেট হামলা! পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ফের ধ্বংস করা হল হিন্দু মন্দির

সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচিতে গুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি হিন্দু মন্দির। মারি মাতার সেই মন্দিরটি ১৫০ বছর পুরনো বলে জানা গিয়েছে। বুলডোজার দিয়ে মন্দিরটি ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ধ্বংস করা হল আরও একটি মন্দির। আর এবার রকেট হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরটি। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ সিন্ধের কাশমোড় এলাকায়। এই অঞ্চলে বেশ অনেকজন হিন্দুর বাস বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবল ‘ওয়াটার বাস’, মৃত অন্তত ৪, উঠছে বহু প্রশ্ন)

জানা গিয়েছে, যে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে কাশমোড় এলাকার স্থানীয়রা বছরে একবার করে পুজো দেন। এই আবহে দুষ্কৃতীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এবং রকেট হামলায় মন্দির ধ্বংস করে। এদিকে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন কাশমোড়-কাঁধকোটের এসএসপি ইরফান সম্মো। এদিকে হামলার সময় মন্দিরটি বন্ধ ছিল। তাই হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাগরি সমাজের লোকেরা বছরে একবার করে এই মন্দিরে প্রার্থনা করেন। তখনই এই মন্দির খোলা হয়।

এদিকে হামলা প্রসঙ্গে পুলিশ কর্তা ইরফান সম্মো জানান, ‘দুষ্কৃতীরা রবিবার ভোররাতে নির্বিচারে গুলি চালায় মন্দির লক্ষ্য করে। রকেট হামলাও চালানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা সেখান থেকে চম্পট দেয়। কোনও দুষ্কৃতীকে পুলিশ ধরতে পারেনি। তবে দোষীদের গ্রেফতার করতে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’ এই হামলায় মোট ৯ জন বন্দুকবাজ জড়িত ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। স্থানীয় বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্য ডঃ সুরেশ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ডকাতরা রকেট হামলা করলেও তাতে বড় কোনও বিস্ফোরণ ঘটেনি। তাই এলাকার কোনও মানুষ হতাহত হয়নি।’ তবে এই হামলার জেরে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা আতঙ্কিত বলে তিনি জানান। এই আবহে পুলিশের কাছে তিনি স্থানীয়দের সুরক্ষার ব্যবস্থার আর্জি জানান।

এদিকে এসএসপি ইরফান সম্মো আস্বস্ত করেছেন যে কাশমোড় এলাকার হিন্দুদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে পুলিশ। উল্লেখ্য, প্রেমের টানে পাকিস্তানের সীমা হায়দারের ভারতে আসার ঘটনার ‘প্রতিশোধে’ কাশমোড়ের মন্দিরে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। এদিকে গত শুক্রবার খাস করাচিতে পুলিশের নাকের ডগায় বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয় একটি মন্দির। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই ধ্বংসলীলায় ব্যবহৃত বুলডোজারের নিরাপত্তায় একটি পুলিশের গাড়িও ছিল ঘটনাস্থলে। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের মদতেই সেই মন্দির ভাঙায় হয় কি না। করাচির মাদ্রাজি হিন্দুরা এই মারি মাতা মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন। মন্দিরের পরিচালনাও তারাই করতেন। মন্দির সংস্কার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছিল সম্প্রতি। তবে গত শুক্রবার রাতের অন্ধকারে মন্দিরের মূল কাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।