Teacher Selection Committee: সিলেকশন কমিটি নিয়ে আচার্য ভবনের সাথে মতবিরোধ বিকাশ ভবনের, শেষে কী করল পর্ষদ?

বিগত কয়েক বছরে শিক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যে। শাসকদলের বহু নেতা, শিক্ষা দফতরের বহু কর্তা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে। এই আবহে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করল পর্ষদ। তবে এই প্রক্রিয়ায় দেখা গেল বিকাশ ভবনের সঙ্গে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনের ‘দূরত্ব’। উল্লেখ্য, এই সিলেকশন কমিটিতে সরকারি প্রতিনিধি চেয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে কমিটিতে প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে ‘অনীহা’ দেখা যায় বিকাশ ভবনের কর্তাদের মধ্যে। এই আবহে বিকাশ ভবনের তরফে পর্ষদকে পালটা প্রশ্ন করা হয়, সিলেকশন কমিটিতে কি সরকারি প্রতিনিধি রাখা আবশ্যক? এরই মাঝে শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করল পর্ষদ। (আরও পড়ুন: কলকাতা-ব্যাংকক মহাসড়ক চালু কবে? জটিলতা কাটাতে ময়দানে খোদ জয়শংকর)

জানা গিয়েছে, অ্যাডহক কমিটির সুপারিশ মেনেই সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবারই অ্যাডহক কমিটিতে সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠনের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। এবং তা পাশও হয়ে যায়। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এই প্রসঙ্গে দাবি করেছেন, এর আগে কখনও এ ভাবে বিধি মেনে সিলেকশন কমিটি গঠিত হয়নি। তিনি জানান, পুনর্গঠিত কমিটিতে তফসিলি জাতি, উপজাতি, ল অফিসার এবং ট্রান্সজেন্ডার প্রতিনিধি রয়েছেন। প্রসঙ্গত, পর্ষদের এই অ্যাডহক কমিটি স্কুলশিক্ষা দফতরেরই নিযুক্ত।

আরও পড়ুন: অব্যাহত টমেটোর ‘চোখ রাঙানি’, জনতার পকেটে লাগা আগুন নেভাতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের

জানা গিয়েছে, এর আগে পর্ষদের তরফে সরকারি প্রতিনিধি চেয়ে বিকাশ ভবনে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অ্যাডহক কমিটির মনোনীত সদস্যদের প্রস্তাবেই সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল পর্ষদের তরফে। সেই চিঠির জবাবে স্কুলশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা পর্ষদের কাছে জানতে চান, বিকাশ ভবনের প্রতিনিধি রাখতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা আছে কি না। এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পর্ষদের তরফে পালটা সিলেকশন কমিটি গঠনের কম্পোজিশন জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে বিকাশ ভবনের তরফে সেই চিঠির আর কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। তবে এই গোটা পর্ব নিয়ে বিকাশ ভবনের বক্তব্য, পর্ষদ একটি স্বশাসিত সংস্থা। তাই আইনে না থাকলে সরকারি প্রতিনিধি পাঠানোর প্রশ্ন ওঠে না।

উল্লেখ্য, ইন্টারভিউয়ের পর জেলায় জেলায় শিক্ষক নিয়োগের যে প্যানেল তৈরি হবে, সেই প্যানেল অনুমোদন দেওয়া সিলেকশন কমিটির দায়িত্ব। আগের বিধি বদলে ২০১৫ সালে স্কুলশিক্ষা দফতর সিলেকশন কমিটির হাতে এই ক্ষমতা দেয়।