Nusrat Jahan: ‘বাঁশ দিয়ে ঢাপা ঢাপ-ঢাপা ঢাপ…’ চাপে পড়লেন নুসরত! বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

গত ২৩ মের ঘটনা। তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের একটি বক্তব্যকে ঘিরে একেবারে তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। এবার সেই ঘটনায় কার্যত আরও বিপাকে পড়লেন নুসরত। বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে খবর, সেই দিন নুসরত কী বলেছিলেন তা নিয়ে আদালতের হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য় এবার কলকাতা হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে।

সূত্রের খবর, মে মাসের শেষের দিকে নুসরতের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছিল ওই সাংসদ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলছেন, বসিরহাটে এসে ভোট চাইতে এলে কংগ্রেস আর বিজেপি কর্মীদের বাঁশ পেটা করা হবে। এমনটাই দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল নুসরত আসলে হিংসায় উসকানি দিচ্ছেন।

ঠিক কী বলেছিলেন নুসরত?

সেই সময় বসিরহাটের একটা মাঠে সভা করছিলেন নুসরত। নবজোয়ার কর্মসূচির প্রস্তুতি সভা ছিল। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ তোমায় ভোট দেবে কেন? তুমি কী করেছ? করেছ কী তুমি। একটা ভোটও পাবে না। বসিরহাটের মানুষ তোমাকে কী বার করবে, বাঁশ দিয়ে ঢাপা ঢাপ, ঢাপা ঢাপ খাবে।পঞ্চায়েতের মানুষ আবার প্রমাণ দেবে। সে কংগ্রেসই আসুক আর বিজেপিই আসুক। আসলে ওরা কিছু দেয় না। বাংলার মানুষের জন্য তোমরা কী করেছ? আর পরে তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে মানুষ উত্তর দেবে। বসিরহাটের মানুষ আগেও যেভাবে জবাব দিয়েছে এবারও সেভাবেই জবাব দেবে।

তবে এর আগে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, নুসরতের এই ঢাপাঢাপ মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। তবে এবার কার্যত কলকাতা হাইকোর্টও তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

আইনজীবী হাইকোর্টে জানিয়েছেন, তিনি( নুসরত জাহান) বলেছিলেন যদি বিজেপি ও কংগ্রেস কর্মীরা বসিরহাটে প্রবেশের চেষ্টা করেন মানুষ তাদের বাঁশ দিয়ে পেটাবে। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমি কিছু বিষয় জমা দিতে চাই।যার মাধ্যমে এটা বোঝা যাবে যে এটা আসলে ঘৃণাসূচক ভাষণ।

প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ওই আইনজীবীকে হলফনামা জমা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন সেই হলফনামা যেন অ্যাডভোকেট জেনারেল ও নুসরত জাহানের কাছে পাঠানো হয়।