শহরাঞ্চলের উন্নতিতে তাক লাগাচ্ছে ভারত, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় মোদী সরকার ১ কোটি ১৯ লক্ষ বাড়ি মঞ্জুর করেছে এবং ইতিমধ্যেই ৭৫ লক্ষ বাড়ির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।

সূত্রের খবর ‘কানেক্ট করো ২০২৩’ নামক একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন শহরাঞ্চলে পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে একটি সর্বজনীন আচরণগত পরিবর্তন এনেছে।

গৃহায়ণ ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের হার ছিল ১৭ শতাংশ, যা আজ দশ বছরের মধ্যে ৭৬ শতাংশে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, প্রায় ৭৩.৬ লক্ষ ব্যক্তিগত ও কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণের ফলে শহরাঞ্চলে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস অনেকটাই কমেছে। এর পাশাপাশি মেট্রোরেলের উন্নতি প্রসঙ্গে পুরি বলেন, ভারতে ৮৬০ কিলোমিটার মেট্রো লাইন চালু রয়েছে এবং প্রায় ৯১৭ কিলোমিটার মেট্রো লাইনের কাজ চলছে।

মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন শীঘ্রই ভারতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক স্থাপিত হতে চলেছি। পুরি বলেন, ‘আমাদের মেট্রো ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের অবশ্যই গর্বিত হওয়া উচিৎ।’

মন্ত্রীর কথা মতো, অটল মিশন ফর রিজুভেনশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফরমেশন মিশন জলের মতো মৌলিক সামাজিক পরিকাঠামোর দিকে নজর দিয়েছে। ১ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি জলের ট্যাপ সংযোগের মাধ্যমে ৫০০টি শহরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১ কোটি ৮ লক্ষ নর্দমা নির্মাণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জিআইএস-ভিত্তিক মাস্টার প্ল্যানিং, অনলাইন বিল্ডিং পারমিশন সিস্টেমস (ওবিপিএস), মিউনিসিপ্যাল বন্ড ইত্যাদির মাধ্যমে পৌরসভা স্তরের পরিকাঠামো ও পরিষেবার উন্নতি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ‘ক্লিন এয়ার অ্যাকসেলারেটর’এর মত উদ্যোগকে চালু করা হয়।

দেশের মানুষ ও বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এই উদ্যোগগুলির দূষণ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, এই উদ্যোগগুলি শহরের পরিবেশ-পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে স্থায়ী প্রভাব ফেলবে এবং শহরগুলিকে বসবাসের জন্য উপযোগী করে তুলবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কের কারণে গণশুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এরফলে প্রতিনিধি দল বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে উপভোক্তাদের সাথে কথা বলে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং রিপোর্ট দেবেন সরকারি দপ্তরে। এখন দেখার এর ফলে স্থানীয় স্তরে স্বজনপোষণ বা টাকা চুরির অভিযোগ কিছুটা হলেও কমে কিনা।