Brinda Karat on TMC: বাংলায় এত খুন, তারপরেও তৃণমূলের হাত ধরলেন? প্রশ্ন শুনে সুর বদল সিপিএমের বৃন্দা কারাতের

বাংলায় কুস্তি আর বেঙ্গালুরুতে দোস্তি। বাংলায় সিপিএম- তৃণমূলের মুখ দেখাদেখি নেই। অথচ বেঙ্গালুরুতে জোটের মিটিংয়ে তৃণমূলের সঙ্গে গলায় গলায় সম্পর্ক সিপিএমের। এবার এনিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সামনে মুখ খুলেছেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত।

বৃন্দা কারাত বলেন,  দেখুন বিজেপি তো ভাবতেই পারছে না যে সবাই এক হয়ে গিয়ে কাজ করবে। বিজেপির বিরুদ্ধে, আরএসএসের বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে যাবে। ওরা সব জায়গায় টিপ্পনি কাটছেন। আজ সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির রাজের বিরুদ্ধে সকলে দাঁড়াচ্ছেন। মোহন ভাগবৎ বলেছেন ইন্ডিয়াতে মহিলাদের উপর ধর্ষণ হয়, ভারতে হয় না। ওদের মানসিকতা, আরএসএসের মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভারত এক। ইন্ডিয়া বাঁচাও, ভারত বাঁচাও। যারা ইন্ডিয়া আর ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা করছে তারা মনুবাদী ভাবনায় পরিচালিত।

 

তিনি বলেন, সংবিধান বাঁচানোর জন্য আমাদের এই লড়াই। সংবিধান বাঁচলে দেশ বাঁচবে। সংবিধানের বিরুদ্ধে যে হামলা আরএসএস বিজেপি করছে তার বিরুদ্ধে এই লড়াই।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফেস তো সংবিধান। ফেস তো ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি। ওটাই আমাদের মুখ। কিন্তু বাংলায় তো তৃণমূল আর সিপিএমের মধ্য়ে জোর লড়াই চলে। সেক্ষেত্রে কী বলবেন?

বৃন্দা কারাত বলেন, দেখুন জোটের ক্ষেত্রে প্রতিটা রাজ্যে আলাদা আলাদা সমীকরণ রয়েছে। টিএমসির অত্যাচার পঞ্চায়েত ভোটে বাংলায় দেখা গিয়েছে। ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা বাংলার ঘটনা। প্রতিটি রাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে। বাংলার মধ্য়ে এই যে সংবিধান বাঁচানোর, ধর্মনিরপেক্ষতাকে রক্ষা করার যে পরিস্থিতি সেটা বাংলার পরিপ্রেক্ষিতেই হবে। বাংলায় আমাদের যে পার্টি তারা আলোচনা করে তৈরি করবেন। কিন্তু এটা বলতে পারি জনাদেশের উপর আপনি আঘাত হানছেন সেই শাসকদলের বিশ্বাসযোগ্যতা খুবই কম।

আর প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলেছেন শতাব্দী রায়। সেই প্রসঙ্গে বৃন্দা কারাত বলেন, সংবিধানের প্রশ্ন, সংবিধান না বাঁচলে প্রধানমন্ত্রী দিয়ে কী হবে? সংবিধান বাঁচাও, ভারত বাঁচাও এটাই আমাদের স্লোগান।

কিন্তু বৃন্দা কারাত যাই বলুন, গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য় তৃণমূলের হাত ধরছে সিপিএম এই ফর্মুলাটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।